গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে এ বার ডিলিট সন্মান পাচ্ছেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ও সংস্কৃত পুঁথি গবেষক প্রণব রায়।
এছাড়া ডক্টর অব সায়েন্স সন্মান জানানো হচ্ছে মুম্বইয়ের টাটা ফান্ডামেন্টাল ইন্সটিটিউট অব রিসার্চের বিজ্ঞানী মোহন মহারাজ ও কলকাতা বিশ্বব্দ্যালয়ের প্রাক্তণ অধ্যাপক গণিতজ্ঞ অমিতাভ রায় চৌধুরীকে।
আগামী ১৬ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে এই চারজনকে সম্মান জানাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। পাশাপাশি সে দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরে বিভিন্ন বিভাগে সেরা ১২৬ জন ছাত্রছাত্রীকে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদকও দেওয়া হবে। পিএইচডি পাবেন ৮ জন।
২০০৮ সালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলেও নিজস্ব কোনও স্ট্যাটিউট এবং এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ও কোর্ট না থাকায় দীর্ঘ কয়েক বছর সমাবর্তন উৎসব হয় নি। সমস্যা মেটার পর ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন হয়েছিল।
সে বার ডিলিট পেয়েছিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও কবি সুবোধ সরকার। ডিএসসি দেওয়া হয়েছিল সঞ্জীব চক্রবর্তী ও অরুণ কুমার শর্মাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমাবর্তন উৎসবে যোগ দিতে রাজ্যপাল কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে করে মালদহে আসবেন। মালদহ বিমান বন্দরে নেমে সড়কপথে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে সমাবর্তনে যোগ দেবেন। সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি আসবেন কি না তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
সমাবর্তনে প্রধান অতিথি দিল্লির ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব হিস্টোরিক্যাল রিসার্চের চেয়ারম্যান ওয়াই সুদর্শন রাও। উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘‘এ বার আমরা দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ও প্রণব রায়কে ডিলিট এবং মোহন মহারাজ ও অমিতাভ রায় চৌধুরীকে ডিএসসি সন্মান জানাচ্ছি।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় ২২ হাজার ছাত্রছাত্রীকে এই সমাবর্তনেই ডিগ্রি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, ওই সার্টিফিকেট পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বারোশো টাকা জমা দিতে হবে, যা অনেকটাই বেশি। অনেকেই তা দিতে পারবেন না।
এ নিয়ে সমাবর্তনের আহ্বায়ক তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাস বলেন, ‘‘প্রথম সমাবর্তনের পর যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল সে সময়ও একই ফি নেওয়া হয়েছিল। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা আর্থিক প্রতিবন্ধকতার উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আবেদন করেছিলেন তাদের ফি মকুব করা হয়েছিল। এবারও কেন সেই প্রশ্ন উঠছে জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy