Advertisement
১২ জুন ২০২৪

লঙ্কার ক্ষতি, ক্ষোভ কৃষি দফতরের বিরুদ্ধে

হলদিবাড়ি পাইকারি বাজারে নতুন লঙ্কা উঠতেই সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। পোকায় খাওয়া লঙ্কায় জল ঢুকছে। সেই লঙ্কা অন্য লঙ্কার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ফলে, অন্য সব লঙ্কা পচে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে কৃষককে সচেতন না করার জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে কৃষি দফতরের দিকে। কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

পোকায় খাওয়া লঙ্কা চিন্তা বািড়য়েছে চাষিদের। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।

পোকায় খাওয়া লঙ্কা চিন্তা বািড়য়েছে চাষিদের। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিবাড়ি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৪২
Share: Save:

হলদিবাড়ি পাইকারি বাজারে নতুন লঙ্কা উঠতেই সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। পোকায় খাওয়া লঙ্কায় জল ঢুকছে। সেই লঙ্কা অন্য লঙ্কার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ফলে, অন্য সব লঙ্কা পচে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে কৃষককে সচেতন না করার জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে কৃষি দফতরের দিকে। কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে হলদিবাড়ি বাজারে নতুন লঙ্কা ওঠা শুরু হয়েছে। শুক্রবার হলদিবাড়ি পাইকারি সব্জি বাজারে প্রতি কিলোগ্রাম লঙ্কার পাইকারি দাম উঠেছে ২০ টাকা। উত্তর ভারতে লঙ্কার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখন প্রতিদিন ২১০ টন লঙ্কা বিহারের পটনা, উত্তরপ্রদেশের আরা, গোরক্ষপুর, গোন্ডায় যাচ্ছে। এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লঙ্কা পুরোপুরি উঠে গেলে প্রতিদিন ৯০০ টন লঙ্কা দিল্লি সমেত গোটা উত্তরপ্রদেশ এবং কলকাতায় চালান যাবে। এ বছর প্রথম ধাপের লঙ্কা চালান যাওয়ার পরে খবর এসেছে লঙ্কা পচে যাচ্ছে। হলদিবাড়ি পাইকারি সব্জি বাজারের সম্পাদক দিগ্বিজয় সরকার বলেন, “এ বার শুরুতেই এই নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। পোকায় খাওয়া লঙ্কায় গত সপ্তাহে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে জল ঢুকছে। লঙ্কা পচে যাচ্ছে। পরে আবার বৃষ্টি হলে সমস্যা বাড়বে।”

কৃষকেরা জানিয়েছেন, এ বার লঙ্কার মধ্যে এক ধরনের পোকা ঢুকছে। পোকা গাছেও লাগছে। ওষুধে কাজ হচ্ছে না। গত সপ্তাহে হলদিবাড়ি ব্লকে তিন দিনে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। লঙ্কার মধ্যে ফুটো দিয়ে জল ঢুকে যাচ্ছে।

হলদিবাড়ি থানার আঙুলদেখা গ্রামের কৃষক আজাহার আলি, পয়ামারি গ্রামের কৃষক জয়নুল হক বলেন, “লঙ্কার মধ্যে জল ঢুকে গেলে বোঝা যায় না। কিন্তু তোলার সময় অন্য লঙ্কার সঙ্গে পোকায় খাওয়া লঙ্কা মিশে যাচ্ছে। পোকা মারার ওষুধে কাজ হচ্ছে না। সমস্ত বিষয়টি কৃষি দফতরকে জানানো হয়েছে।” কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সত্যেন্দ্রনাথ রায়। তিনি বলেন, “কৃষি দফতর ব্যর্থ। তাদের সময় মতো কৃষককে সচেতন করা উচিত ছিল। তারা কিছুই করেননি। এখন কৃষককে ভুগতে হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পোকা মারার ওষুধে কেন কাজ হচ্ছে না, তা আমরা তদন্ত করে দেখার দাবি জানাচ্ছি।” কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। হলদিবাড়ি ব্লকের কৃষি আধিকারিক সঞ্জীব মৈত্রী বলেন, “কৃষককে সব সময় সচেতন করা হচ্ছে। পোকা লাগা গাছ তুলে ফেলে দেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারন পোকা লাগা রোগ ছোঁয়াচে। ওষুধ ব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE