—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শীতের ঘন কুয়াশা যে ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা টের পাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের ভোওর পঞ্চায়েতের চড়ুইল-কৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি সইদুর মণ্ডল। দেড় বিঘে জমিতে সর্ষে চাষ করেছিলেন তিনি। ঘন কুয়াশার কামড়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে ফল। সইদুরের মতো একাধিক সর্ষে চাষি যেমন সমস্যায়, তেমনই বোরো ধানের বীজতলায় ছত্রাকের হামলা শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। কুয়াশায় আলুর ধসা রোগ নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন অনেকেই। যদিও পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি দফতর।
বর্ষার সময় প্রবল বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছিল কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান। শীতের মধ্যে এ বার সমস্যায় পড়ল বোরো ধানের বীজতলা। কুশমণ্ডি, হরিরামপুর, তপন, হিলির মতো ব্লকগুলিতে শুরু হয়েছে বীজতলায় ছত্রাকের আক্রমণ। ধান রোয়ার আগেই গুণমান পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও প্রতিকারের পথে হাঁটছেন চাষিরা। সর্ষে চাষি সইদুর বলেন, ‘‘বোরন ছেটাব বলে ভেবেছি। সবে ফল এসেছে। কিন্তু সেগুলি কুঁকড়ে যেতে শুরু করেছে কুয়াশার জন্য।’’
অতিরিক্ত কুয়াশায় আলু চাষের ক্ষেত্রেও ধসা রোগের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে দাবি, এখনও তেমন পর্যায়ে রোগের প্রকোপ যায়নি। তবে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। জেলা কৃষির দফতরের সহ অধিকর্তা অনির্বাণ লাহিড়ী (ফসল নিরাপত্তা) বলেন, ‘‘ধান এবং আলুর ক্ষেত্রে প্রতিটি পদক্ষেপ চাষিদের বলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ব্লক কৃষি দফতরগুলিতে। সে কাজ শুরু হয়েছে। সর্ষের সমস্যায় বোরন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।"
উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে আসা কুয়াশার দাপট আরও কয়েক দিন চলতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও নামে ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy