পাতা হয়েছে খাঁচা। — নিজস্ব চিত্র।
অজানা জন্তুর আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের কালনাগিন গ্রামে। মঙ্গলবার সেখানে খাঁচা পাতল বনদফতর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকায় জন্তুর আক্রমণে কয়েকটি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ বার সেই জন্তুকে খাঁচাবন্দি করার উদ্যোগ নিল বনদফতর।
মঙ্গলবার কালনাগিন গ্রামে পৌঁছে খাঁচা পাতার কাজ শুরু করেন বনকর্মীরা। দেওয়া হয় ছাগলের টোপও। রাতে ওই খাঁচা পর্যবেক্ষণ করবেন বনকর্মীরা। চোপড়া রেঞ্জের রেঞ্জার শ্যামসুন্দর ঝরিয়া বলেন, ‘‘রাতে বনকর্মীরা খাঁচাটি পর্যবেক্ষণ করবেন। আগামিকাল থেকে বনকর্মীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এটা বাঘ নয়। তবে কুকুর বা খ্যাঁকশিয়াল প্রজাতির জন্তু হতে পারে। প্রধানত ছাগল এবং বাছুর এর শিকার। পিছন থেকে কামড় দিচ্ছে, এমনটাই দেখা গিয়েছে।’’
গত সাত দিন কালনাগিন গ্রামের বিস্তৃত চা বাগান এলাকায় জোরালো হয়েছে এই হিংস্র জন্তুর আতঙ্ক। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে ছাগল এবং গবাদি পশু উধাও হয়ে যাচ্ছে। এর পর মঙ্গলবার দুপুরে সেই জন্তু ধরতে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতে বন দফতর। গত কয়েক দিনে অজানা জন্তুর আতঙ্কে ত্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। শীঘ্রই সেই প্রাণী খাঁচাবন্দি হবে বলে আশায় গ্রামবাসীরা।
সোমবার রাতে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায় জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন দক্ষিণ ধূপঝোরা-ভবেশ্বরপাড়া এলাকায়। বাবুল হোসেন নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দার দাবি, সোমবার রাত প্রায় ১টা নাগাদ একটি চিতাবাঘ খাবারের লোভে ঢুকে পড়ে তাঁর বাড়িতে। দোতলায় উঠে চিতাবাঘ কোনও খাবার না পেয়ে আবার নেমেও যায় সিঁড়ি দিয়ে। সেই সময় ঘর কাঁপতে থাকে। তা বুঝতে পেরে বাইরে বেরোন বাবুলের ছেলে তাজমুল হক। তিনি দরজা খুলে চিতাবাঘ দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy