Advertisement
১৮ মে ২০২৪

সভায় মানা, ফের হোঁচট জিসিপিএ-র

সাত মাস আগে নবান্নের আপত্তিতে থমকে গিয়েছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের (জিসিপিএ) ‘নারায়ণী সেনা’র কুচকাওয়াজ। এ বার কলকাতা হাইকোর্টে হোঁচট খেল জিসিপিএ।

কিশোর সাহা ও নমিতেশ ঘোষ
শিলিগুড়ি ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৩
Share: Save:

সাত মাস আগে নবান্নের আপত্তিতে থমকে গিয়েছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের (জিসিপিএ) ‘নারায়ণী সেনা’র কুচকাওয়াজ। এ বার কলকাতা হাইকোর্টে হোঁচট খেল জিসিপিএ। বুধবার উভয়পক্ষের শুনানির পরে কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশ-প্রশাসনের গোলমালের আশঙ্কাকে যুক্তিগ্রাহ্য রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে জিসিপিএ-কে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না।

তাতে ফাঁপড়ে পড়েছেন অনন্ত রায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সাংগঠনিক ভাবে সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। সরকারি তরফে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা করায় অনুমতি দেয়নি উচ্চ আদালত। আমরা আপিল করব।” কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘যত ক্ষণ কোথাও সামান্য গোলমালের আশঙ্কা থাকবে, সেখানে কোনও সমাবেশ কিংবা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয়।’’ শুধু তা-ই নয়, জেলা পুলিশ-প্রশাসনের অফিসারদের কয়েকজন জানিয়ে দিয়েছেন, কেন গোলমালের আশঙ্কা করা হচ্ছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আগামী দিনে আপিল হলে প্রয়োজনে সেখানেও নথিপত্র পাঠানো হবে বলে ওই অফিসাররা জানান।

তবে আপিল করা নিয়ে জিসিপিএ-র অন্দরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সংগঠন সূত্রের খবর, আগামীকাল, শুক্রবার কোচবিহারের রাজ আমলের প্রতিনিধি তথা সেনাপতি তথা ‘বীর চিলা রায়ে’র জন্মদিবস উদযাপন শুরু হবে। সেই মতো আজ বৃহস্পতিবার থেকেই অসম ও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে সংগঠনের লোকজনের জড়ো হওয়ার কথা। সে জন্য অনন্তবাবুর তৈরি রাজবাড়ি লাগোয়া মাঠে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। যাকে ঘিরে ছোটখাট মেলাও বসে গিয়েছে। তবে জিসিপিএর একাধিক পদাধিকারী জানান, জবরদস্তি অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ফের মামলায় জড়াতে তাঁরা রাজি নন। অন্যপক্ষ অবশ্য ছোট মাপের হলেও জন্মদিন পালন করতে বদ্ধপরিকর। তাঁরা জানান, বিনা অনুমতিতে অনুষ্ঠানের জন্য মামলা হলে দলীয় ভাবে তা লড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, যে জমিতে জিসিপিএ অনুষ্ঠান করতে চেয়েছে, সেই জমির মালিকদের সিংহভাগের লিখিত অনুমতিও দেখাতে পারেনি। জিসিপিএ-র দাবি, ওই জমির মালিকরা আপত্তিও করেননি। তাই তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিলের চেষ্টায় মরিয়া।

অতীতে জিসিপিএ-র নারায়ণী সেনার কুচকাওয়াজ নিয়েও প্রশাসন নিরাপত্তার কারণে আপত্তি তুলেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

GCPA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE