বিমল গুরুং।
বিজেপির পরে এ বার তৃণমূলের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। গত দু’দিন ধরে গুরুং মিরিক মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সেখানে তিনি বিজেপি, এবং তৃণমূলের থেকে দূরত্ব রেখে জাতির জন্য স্বতন্ত্র কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন৷
গুরুংয়ের কথায়, ‘‘২০২০ সালে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছি। অনেক কথাই ওরা রাখেনি। পাহাড়ে ফিরে নতুন আশা দেখছিলাম। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, গণতন্ত্র ‘হরণ’ হচ্ছে, জিটিএতে ঠিকাদারদের ‘বাড়বাড়ন্ত’ হয়েছে। জিটিএ ভোটের বিরোধিতা করে অনশনে বসলেও, কেউ রাজ্যের তরফে তাতে সাড়া দেয়নি বলে গুরুং অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিমলের কথায়, ‘‘এই দু’বছরে যা বুঝলাম, জাতির উপরে কিছু নেই। জাতির দাবিদাওয়া নিয়েই কাজ করব। আমি বিজেপির সঙ্গেও নেই, আমি তৃণমূলের সঙ্গেও আর নেই। নিজের মতো এক পথে চলব। পাহাড়ের দাবিদাওয়া নিয়ে যাঁরা আন্তরিক, তাঁদের সঙ্গে কাজ করব।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, গুরুং পাহাড়ে ফিরলেও রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নেয়নি। দল চালানোর জন্য পুরোপুরি তিনি সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। শেষে, বিধানসভা ভোট এবং দার্জিলিং পুরসভা ভোটে নিজের সাংগঠনিক পরিস্থিতি বুঝে জিটিএ ভোট থেকে পিছিয়ে আসেন। অনশনও করেন। সে সময় শাসক দলও গুরুংকে কার্যত গুরুত্ব দেননি। এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের কোনও সাহায্য না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন গুরুং। নতুন করে আলাদা রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে কাজ করা শুরু করেন। সে সময় অনীত থাপার বিরোধিতা করে পাশে পান অজয় এডওয়ার্ড এবং বিনয় তামাংকে। এই অবস্থায় পাহাড়ে নতুন রাজনৈতিক অঙ্ক তৈরি হচ্ছে বলে নেতারা মনে করছেন। তাই বিজেপি-তৃণমূলকে বার্তা দিতেই গুরুং এ সব বলছেন বলে পাহাড়ের নেতারা মনে করছেন।
তৃণমূলের পাহাড়ের সভানেত্রী তথা সাংসদ শান্তা ছেত্রী এ দিন বলেছেন, ‘‘গুরুং কী বলছেন শুনছি। কিন্তু এ নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy