জিটিএ-চুক্তি পোড়ানোর হুমকির পরে পাহাড়ের যুবকদের অস্ত্র হাতে আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা শুরুর পরামর্শ দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গ।
রবিবার দার্জিলিঙে ভা-টুকভারে যুব মোর্চার এক জনসভায় পৃথক গোর্খাল্যান্ড আদায়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে এমনই পরামর্শ দিয়েছেন গুরুঙ্গ। তিনি দ্রুত জিটিএ চিফের পদও ছাড়তে চলেছেন বলে সভায় দাবি করেছেন। গত শুক্রবারই দলেরই এক সভায় জিটিএ চুক্তি পোড়ানো হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন গুরুঙ্গ। রাজ্য সরকার পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য একের পর এক উন্নয়ন বোর্ড গঠন এবং সেই বোর্ডগুলিতে অর্থ বরাদ্দের পাল্টা চাপ তৈরি করতেই গুরুঙ্গ হুমকি পর্ব শুরু করেছেন বলে পাহাড়ের অন্য রাজনৈতিক দলগুলির দাবি।
গুরুঙ্গ এ দিন বলেন, ‘‘পাহাড়ের বাসিন্দাদের কোনও গুরুত্ব নেই, উল্টে ক্রমাগত আমাদের ওপরে ছড়ি ঘোরানো হচ্ছে। এমন বেঁচে থাকার থেকে মৃত্যুও স্বাগত। আমাদের যুবক-তরুণদের জাতি, মাটি এবং ১৯৮৬ সালে এখানে যে সশস্ত্র আন্দোলন হয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত।’’ আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে জিএনএলএফ প্রবল আন্দোলন করে। সে সময় সশস্ত্র আন্দোলন দেখেছিল পাহাড়। ১৯৮৮ সালে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল গঠনের মধ্য দিয়ে সেই আন্দোলন শেষ হয়। জিটিএ ছাড়ার হুমকি দিয়ে এ দিন গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘ভাল কিছু পেতে হলে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। রাজ্য সরকার পাহাড়ের সব জাতিকে ভেঙে দিতে চাইছে। আমি আর বেশিদিন জিটিএ চিফ থাকব না। জঙ্গলে থেকে লড়াই চালিয়ে যাব।’’
গত বিধাসভায় মোর্চার ভোট অনেকটাই কমেছে। কয়েক মাস পরেই পাহাড়ের পুরভোট। সে কথা মাথায় রেখেই গুরুঙ্গ আক্রমণাত্মক দাবি করে জিএনএলএফের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এম জি সুব্বা বলেন, ‘‘মোর্চার পায়ের তলার থেকে মাটি সরছে। বাধ্য হয়ে আশির দশকের আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে শুধু হুমকি দিচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy