এক বধুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত না করে দেহ কবর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, মৃতার বাবা এবং জেঠুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার সাহাপাড়া এলাকায় ওই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কবর খুঁড়ে ওই বধু কাজলদেবীর (১৯) দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বধূর স্বামী মোবারক মণ্ডল, মৃতার বাবা জাকিরুল সরকার এবং জ্যাঠামশাইকে। মাত্র ১৫ দিন আগে স্থানীয় বোরাকুড়ি এলাকার কৃষিজীবী মোবারকের সঙ্গে সাহাপাড়ার কাজল মন্ডলের বিয়ে হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে স্ত্রী কাজল বাবার বাড়ি সাহাপাড়ায় চলে আসেন। ওই দিন জামাই মোবারকও শ্বশুর বাড়িতে হাজির হন। কাজল অন্তঃসত্ত্বা বলে জানাজানি হতে গন্ডগোল শুরু হয়। রাতে কাজলদেবীকে তপন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানিয়ে চিকিৎসক ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে নিয়ে যেতে পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই বধূর মরদেহ নিয়ে তার বাবা জাকিরুল, স্বামী মোবারক সহ আত্মীয়রা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় গোরস্তানে সমাধিস্থ করে দেন বলে অভিযোগ।
এদিন সকালে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তপন থানার ওসি বিশ্বজিত ভট্টাচার্য জানান, কী হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy