ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন বাসিন্দারা। রতুয়ায়।
রতুয়ার মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি পঞ্চায়েতে গঙ্গা-ফুলহারের ভাঙন অব্যাহত। রবিবারও নতুন করে বেশ কিছু বাড়ি ও জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। আতঙ্কে বাসিন্দাদের অনেকেই এ দিনও গাছপালা কেটে, ঘরদোর ভেঙে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন।
তবে শনিবারের তুলনায় এ দিন ভাঙনের প্রকোপ কিছুটা কম বলে সেচ দফতর ও প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। দুর্গতদের নিরাপদে সরানোর জন্য সাহায্য করতে এলাকায় গিয়েছেন সেচ দফতরের কর্মীরা। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের কর্মীদেরও এলাকায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও ভাঙনে দুর্গতরা এখনও কোনও ত্রাণ পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, এলাকায় থাকলেও স্থানীয় বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় দুর্গত এলাকায় যাননি, এমন অভিযোগও উঠেছে।
সেচ দফতরের মালদহ ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার প্রণব সামন্ত বলেন, ‘‘এলাকায় সেচ দফতরের কর্মীরা রয়েছেন। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ভাঙন রোধে পাঠানো প্রকল্পের অনুমোদন মিললেই কাজ করা হবে।’’ রতুয়া-১ ব্লকের বিডিও অর্জুন পাল বলেন, ‘‘দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। দুর্গতদের তালিকা পেলেই ত্রাণ দেওয়া হবে।’’
স্রোত আটকাতে গোলাপমণ্ডলপাড়ার গ্রামবাসীরাই গাছ কেটে ফেলছেন গঙ্গা নদীর পাড়ে।
মহানন্দটোলা এলাকাতেই বাড়ি রতুয়ার বিধায়ক সমরের। এই পরিস্থিতিতে দেরিতে হলেও প্রশাসন, সেচ দফতরের কর্তারা এলাকায় গেলেও সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক এলাকায় থাকা সত্ত্বেও দুর্গত এলাকায় যাননি বলে অভিযোগ দলেরই একাংশের। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি সমর। তাঁর দাবি, ‘‘এসব মিথ্যা অভিযোগ। ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়েছি, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও সচেষ্ট হয়েছি।’’ জন্জালিটোলার দুর্গত মনোজ মাহাতো, বিলাইমারির মহিদুর ইসলামেদর বক্তব্য, ঘরদোর সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। ত্রাণ মেলেনি, কেউ এলাকাতেও আসেননি।
নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy