প্রতীকী ছবি।
রাত দশটা বাজলেই বদলে যাচ্ছে মেলার পরিবেশ। মঞ্চে উঠে অশ্লীল পোশাকে প্রকাশ্যেই চলছে চটুল নাচ। আর সেই নাচের আসরে উড়ছে শ’য়ে শ’য়ে টাকা। রমরমিয়ে চলছে জুয়ার আসরও। এই জুয়ার আসরে রাতভর লোক টানতেই চটুল নাচের আয়োজন বলে দাবি স্থানীয়দের। কালীপুজোর মেলা উপলক্ষে এমনই কায়দায় জুয়া খেলা চলছে মালদহের হবিবপুর ব্লকের আইহোতে। প্রকাশ্যে সেই কারবার চললেও পুলিশ প্রশাসন নিশ্চুপ বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পুলিশের একাংশের মদতেই জুয়া, নাচের কারবার চলছে। ঘটনাটির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্তারা।
হবিবপুর ব্লকের একাধিক বিগ বাজেটের কালীপুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম আইহো অঞ্চল সর্বজনীন পুজো কমিটি। প্রায় ৪৫ বছর ধরে আইহো বাজার লাগোয়া এলাকায় পুজো হয়ে আসছে। মূর্তির উচ্চতা ৪৫ ফুট। কালীপুজোকে ঘিরে এলাকায় ১৫ দিন ধরে মেলা চলে। কালীপুজোর দিন থেকেই মেলা শুরু হয়। দিনের আলোয় স্বাভাবিক পরিবেশ থাকলেও রাতে বদলে যাচ্ছে মেলার পরিবেশ। কালী মন্দির লাগোয়া বাজারে গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চ। তবে মঞ্চের চার দিক উন্মুক্ত রয়েছে। সেই মঞ্চে আলকাপ গানের নাম করে অশ্লীল নাচ চলছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, দৈনিক রাত দশটা থেকে শুরু হয় সেই নাচ। রাত বাড়তেই উদ্দীপনাও বেড়ে যায়। নাচ দেখতে মঞ্চের চারপাশে ঘিরে থাকে কিশোর, যুবকেরা। অনেকে শ’য়ে শ’য়ে নোট ওড়ায়।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রাতভর জুয়ার আসরে লোক টানতে এই নাচের ব্যবস্থা করেছে উদ্যোক্তারা। মন্দির এবং মেলা চত্বরে চলছে তিনপাত্তি, জুয়া খেলা। রাতভর চলছে সেই খেলা। লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা চলছে বলে অভিযোগ। আর সেই আসরে লোক টানতে ব্যবস্থা করা হয়েছে এমন নাচের।
বিনা মূল্যে প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে সেই নাচ। ওই যুবকেরা এও জানায়, আইহোর নাচের কথা এখন সবার মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। সেই শুনে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। তখনই নাচ দেখতে গিয়ে জুয়ার বোর্ডে ঝুঁকছেন অনেকে। যদিও এর পিছনে পুলিশের একাংশের মদত রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়দের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, আইহোর জুয়া ও অশ্লীল নাচের কথা সকলেরই জানা। তবুও কেন অভিযান নেই পুলিশের। যদিও হবিবপুর থানার পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।”
আইহো সর্বজনীন কালীপুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নিমাই সিংহ বলেন, “আমাদের আলকাপ গানের কথা বলে মঞ্চ নেওয়া হয়েছিল। তবে অশ্লীলনাচের বিষয়টি আমার কানে এসেছে। দ্রুত বৈঠক ডেকে আলকাপ বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, এই জুয়ার আসরের ফলে এলাকার পরিবেশ খারাপ হচ্ছে। তার কুপ্রভাবও চোখে পড়ছে। তা বন্ধ করা দরকার। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy