বাগডোগরায় রাতের উড়ান চালুর জন্য কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়ল এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই)। সে কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চাহিদা মতো বাড়তি জমির ব্যবস্থা করতে জরুরি ভিত্তিতে এএআই-এর প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের চার মন্ত্রী। জমি জোগাড় করতে জোরাজুরির রাস্তায় না হেঁটে ক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষি করে সরাসরি তা কিনে দেওয়া হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জমি কিনতে যে পরিমাণ টাকা লাগবে তা দেবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর।
এ দিন রাতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘বাগডোগরায় রাতে বিমান ওঠানামার কাজ দ্রুত শুরুর জন্য এএআই কাজে নেমেছে। এএআইয়ের হাতে ৮০ কাঠা জমি দিতে হবে। আমরা মন্ত্রীরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জমির মালিকদের কাছ থেকে তা কিনে নেব। সে জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর টাকা দেবে। এটা জরুরি ভিত্তিতে হবে।’’ তিনি জানান, মালদহ, বালুরঘাট, ও কোচবিহার বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর উন্নতি ও সেখানে বিমান চালানো নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার থেকে বাগডোগরায় ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) চালুর কাজ শুরু করেছে এএআই। সে জন্য বিমান চলাচলে কিছুটা রাশ টানা হয়েছে। বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত বিমান ওঠানামা করছে। ওই সরঞ্জাম বসানো হয়ে গেলে রাতের উড়ানের সংখ্যা বাড়াতে বিমানবন্দরের পরিধিও বাড়ানো হবে। সে জন্য অন্তত ৮০ কাঠা জমি দরকার। এএআইয়ের পক্ষ থেকে জমির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার বার্তা দেওয়া হয়েছে। গৌতম দেব উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকার সময়ে জমির ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সে যাত্রায় বিমানবন্দর লাগোয়া কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা বলে রাজিও করিয়েছিলেন গৌতমবাবু। কিন্তু, পরপর নানা ভোট প্রক্রিয়া চলতে থাকায় সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
সম্প্রতি আইএলএসের কাজ শুরুর পরে এএআইয়ের তরফে রাজ্যকে ফের তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
এই অবস্থায়, এ দিন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী একযোগে এএআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই জমির ব্যবস্থা কী ভাবে দ্রুত করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। তখনই বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকার কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া যে আগেই প্রায় হয়ে গিয়েছিল তা স্পষ্ট হয়। এর পরেই দ্রুত জমির দর ঠিক করে বিক্রেতাদের হাতে টাকা দিয়ে তা এএআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাগডোগরায় রাতে বিমান ওঠানামা চালু হলে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। একই সঙ্গে আগামী দু’বছরের মধ্যে কোচবিহার, মালদহ, বালুরঘাটে উড়ানের পরিকাঠামো পুরোপুরি তৈরির চেষ্টাও শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy