অনুষ্ঠানে: গান গাইছেন বন্দিরা। নিজস্ব চিত্র
বিভিন্ন অপরাধে সাজা পেয়ে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এসেছেন তাঁরা। চার দেওয়ালের ভিতরে সময় কাটানোর জন্য গান বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। নিয়ম করে মহড়াও দিতেন। ওই দশজন মিলে তৈরি করেছেন গানের দলও। এই বছর সংশোধনাগারে আয়োজিত শীতকালীন উৎসবে গান গেয়ে সবার নজর কেড়ে নিল সেই দলই। শনিবার, উৎসবের প্রথম দিনেই গান গেয়েছেন তাঁরা। গান শুনে প্রশংসা করেছেন কারামন্ত্রীও।
জেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গান-বাজনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংশোধনাগারের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে কিনে দেওয়া হয়েছে। এতদিন সংশোধনাগারের ভিতরে দুর্গাপুজো ও কালীপুজোয় গান গাইত ওই দল। ২৫ বৈশাখ, ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানেও অনুষ্ঠান করতেন ওই শিল্পীরা। তাঁদের প্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরতে শীতকালীন উৎসবে অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
গানের দলে যারা রয়েছেন সুনীল রাই, দেবাশিস রায়, স্বপন বর্মণ, নিম দেওয়া ভুটিয়া, প্রশান্ত মুখিয়া, রিয়াস রাই, অমিত দর্জি, অমিয় বিশ্বকর্মা, রবি মোদক, বিপেন ছেত্রী। রবির সাত বছর ও বিপেনের পাঁচ বছরের সাজা। বাকি আট জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। এদের মধ্যে দেবাশিস সংশোধনাগারে যাওয়ার আগে থেকে গান বাজনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। বাকিরা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শিখেছে গান-বাজনা। দেবাশিস বলেন, ‘‘নিজেদের প্রতিভা চার দেওয়ালর বাইরে সকলের মাঝে তুলে ধরতে পেরে খুশি।’’ সংশোধনাগারের সুপার সৌমিক সরকার বলেন, ‘‘বন্দিদের প্রতিভাকে তুলে ধরার জন্য সব রকমের সাহায্য করা হয়।’’ সংশোধনাগারের ওয়েলফেয়ার অফিসার কর্ণদেব গোস্বামী বলেন, ‘‘বন্দিদের মধ্যে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। গানের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সেটা আবার প্রমাণ হল।’’
শনিবারই রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেছিলেন, ‘‘বাইরে থেকে ডাক পেলে এই শিল্পীরা সংশোধনাগারের বাইরে এসে গান-বাজনা যাতে করতে পারেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy