গ্রন্থাগার: তৈরি হচ্ছে জাজেস লাইব্রেরি। নিজস্ব চিত্র
উদ্বোধনের দু’দিন পর থেকেই কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। ফলে এখন সেখানে হাইকোর্টের বিচারপতিদের আনাগোনা লেগেই থাকবে। কাজের জন্য তাঁদের প্রয়োজন পড়বে গ্রন্থাগারের। সেই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এ বার সার্কিট বেঞ্চের ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে ‘জাজেস লাইব্রেরি’। ইতিমধ্যেই চার হাজার বই এবং জার্নাল নিয়ে সেজে উঠেছে এই গ্রন্থাগার। যা শুধুমাত্র বিচারপতিরাই ব্যবহার করতে পারবেন।
সার্কিট বেঞ্চের ভবনের নীচের তলায় পূর্বদিকের অংশে তিনটি ঘর নিয়ে গড়ে উঠেছে এই লাইব্রেরি। গত এক সপ্তাহ ধরে তা সাজিয়ে তুলেছেন জলপাইগুড়ি জেলা গ্রন্থাগারের অন্যতম গ্রন্থাগারিক পিনাককান্তি নাগ। সেই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন জেলার বাসিন্দা সঙ্গীতা শীলশর্মা এবং রিতা বর্মণ। আইন সংক্রান্ত বহু মূল্যবান বই রাখা হয়েছে এখানে। লাইব্রেরিতে একটি ঘর রয়েছে বই রাখার। সেটির পোশাকি নাম ‘স্ট্যাগ অ্যান্ড লেন্ডিং রুম’। আর একটি ঘর ‘রিডিং রুম’। অপরটি ই-লাইব্রেরি। যদিও সেটির জন্য একটি বিশেষ সফটওয়ার এখনও ‘ইনস্টল’ না হওয়ার সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয় সেটি। ছ’টি কম্পিউটার থাকছে এই ই-লাইব্রেরিতে। গোটা গ্রন্থাগারে ২৩টি র্যাকে বই, জার্নাল সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
পিনাককান্তিবাবু বলেন, ‘‘এই বই বিচারপতিদের তা কাজে লাগবে বলেই আশা।’’ এই গ্রন্থাগারের জন্য একজন স্থায়ী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করার কথা জানিয়েছে প্রশাসনের একটি সূত্র। আপাতত সেরকম কাউকে না পাওয়ায় পিনাককান্তিবাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁকে জেলা গ্রন্থাগারের পাশাপাশি আরও কয়েকটির কাজ সমালাতে হয়। গ্রন্থাগারে নিত্যনতুন আইনের বই, জার্নাল আসবে। সেগুলো রাখার জন্য আরও দু’টি অতিরিক্ত ‘বুক সেলফ’ রাখা হয়েছে। গ্রন্থাগারিক জানান, ৩০ শতাংশ ‘টেক্সট বুক’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy