Advertisement
০৫ মে ২০২৪

আবর্জনা ফেলার নিয়ে সুরাহার দাবি স্থানীয়দের

নোংরা জমতে জমতে নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরের বাজার সংলগ্ন সুভাষপল্লী এলাকা।

নোংরার স্তুপ। নিজস্ব চিত্র।

নোংরার স্তুপ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব স‌ংবাদদাতা
ফালাকাটা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:৩৮
Share: Save:

দীর্ঘ দিন ধরে পরিষ্কার তো হয় না, উল্টে রোজ ফেলা হয় আবর্জনা। এ ভাবে নোংরা জমতে জমতে নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরের বাজার সংলগ্ন সুভাষপল্লী এলাকা। অভিযোগ শহরের সমস্ত নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকায়। আর সেই নোংরা আবর্জনা গিয়ে পড়ছে নদীতে। যার জেরে আবর্জনাগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে এবং দূষিত হচ্ছে নদী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জটেশ্বরের বাজারের সমস্ত নোংরা আবর্জনা দীর্ঘ দিন থেকে ওই বাঁধের ওপর ফেলা হচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি না হওয়ায় এক দিকে লোকালয়ে জমা আবর্জনায় বসবাস করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার ওই আবর্জনা বছরের পর বছর ধরে অপরিকল্পিতভাবে নদীর বাঁধের উপর ফেলায় দূষণ ছড়াচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা রাজা দেব বলেছেন, ‘‘জটেশ্বরে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করা দরকার। আবর্জনার দূষণে এলাকায় টেকা দায় হয়ে পড়েছে।’’

জটেশ্বর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান সমরেশ পাল জানায়, ডাম্পিং গ্রাউন্ড নয় সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্টের ঘর তৈরির জন্য ২৪ লক্ষ মঞ্জুর হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ। এখন শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘‘যে জায়গায় ঘরটি করা হবে সেই জায়গাটি নিচু। তাই বর্ষায় জল ঢুকে যাবে। গার্ড ওয়াল এর জন্য এমজিএনআরই জিএস ৪১ প্রকল্পে লক্ষ টাকার এস্টিমেট পাঠান আছে। সেটা অনুমোদন পেলেই গার্ড ওয়াল তৈরি করে মাটি ফেলে জায়গাটা উঁচু করেই সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্টের ঘর তৈরির কাজ শুরু করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Falakata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE