দ্রুত বাহিনী পৌঁছছে জেলায়, জানিয়ে জলপাইগুড়ি প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কবে থেকে বাহিনী জেলায় ঢুকতে শুরু করবে তা শীঘ্রই জানিয়ে দেবে বলেও লিখেছে কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার থেকে জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢোকার কথা। জেলা প্রশাসন প্রাথমিক খসড়ায় জেলার সব বুথগুলিকেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করতে পারে। তারপরে অতি স্পর্শকাতার এবং চূড়ান্ত স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় থাকবে, তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে জেলা প্রশাসনকে কমিশন জানিয়েছে। জলপাইগুড়িতে খরচ নিয়ন্ত্রণে নজরদারিও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। প্রতি বিধানসভা ভিত্তিক দল তৈরি হয়েছে। কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন চলছে কিনা তা নজর রাখতে রাষ্ট্রয়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রশাসনের।
জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে আসবে তা কমিশন জানাবে বলেছে। আমরা কমিশনের নির্দেশ মতো সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এ বছর খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারিতেও নানা পদক্ষেপের নির্দেশ এসেছে। সে সবও মেনে চলা হচ্ছে।” জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) প্রিয়াঙ্কা সিঙলাকে খরচ নিয়ন্ত্রণ সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সীমান্ত এবং ভিনরাজ্যের সীমানাবর্তী এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনকে কিছুটা উদ্বেগে রেখেছে বলে দাবি। অসম এবং ভুটান সীমান্তে ভোট ঘোষণার পর থেকেই অবৈধ মদের কারবার বেড়েছে বলে অভিযোগ পৌঁছেছে প্রশাসনের কাছে। সেই এলাকাগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, অবৈধ মদের কারবারের অভিযোগ পেয়েছেন। সে সব তো বটেই সীমান্তে নজরদারির জন্য আগামী সোমবার বৈঠক রয়েছে জলপাইগুড়িতে। বিভাগীয় কমিশনার অজিত বর্ধণ বৈঠক করবেন। বৈঠকে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং দার্জিলিঙের জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারদের ডাকা হয়েছে। তাকবেন বিএসএফ, এসএসবি সহ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালানোর দায়িত্বে থাকা রাজ্য এবং কেন্দ্রের নানা এজেন্সি। এ বছর ভোটের বেশ কিছুদিন আগে থেকে ভিনরাজ্যের সীমানায় তল্লাশি শুরু হয়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy