Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Malda

রেশন সামগ্রীর বদলে ‘টাকা’, তদন্তে প্রশাসন

টাকা বিলি করেন রেশন দোকানের কর্মীরাই। তাঁদের পাল্টা দাবি, গ্রাহকদের বড় অংশ রেশনে বিনামূল্যে পাওয়া আটার প্যাকেট খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন।

এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।

এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। — ফাইল চিত্র।

অভিজিৎ সাহা
হবিবপুর শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:০৩
Share: Save:

মালদহের হবিবপুরে ‘দুয়ারে রেশনে’ খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা বিলির অভিযোগের তদন্ত শুরু করল প্রশাসন। কাল, সোমবারের মধ্যেই খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিকদের তদন্তের রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন হবিবপুরের বিডিও সুপ্রতীক সাহা। তিনি বলেন, “দুয়ারে রেশনে খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা বিলির অভিযোগের ঘটনায় খাদ্য সরবরাহ দফতরকে দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” অভিযোগ প্রমাণিত হলে, রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

শুক্রবার হবিবপুরের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর কেন্দুয়া গ্রামে দুয়ারে রেশনে আটার প্যাকেটের বদলে গ্রাহকদের হাতে-হাতে প্যাকেট পিছু নগদ ১৮ থেকে ২০ টাকা করে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সে টাকা বিলি করেন রেশন দোকানের কর্মীরাই। তাঁদের পাল্টা দাবি, গ্রাহকদের বড় অংশ রেশনে বিনামূল্যে পাওয়া আটার প্যাকেট খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন। তাই গ্রাহকদের কাছ থেকে সরাসরি রেশন দোকানেই টাকার বিনিময়ে আটার প্যাকেট কিনে নেওয়া হচ্ছে। যদিও প্রকাশ্যে তাঁরা কিছু বলতে চাননি।

এ দিন ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ব্লক জুড়ে হইচই পড়েছে। খাদ্য সরবরাহ দফতর ও প্রশাসনের ভুমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ, রেশনে সুযোগ সুবিধা নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতি মাসে এক বার করে ডিলারদের বৈঠক হওয়ার কথা। আর তিন মাস পরে, খাদ্য সরবরাহ দফতরের সঙ্গে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে হবিবপুরে কোনও বৈঠকই হচ্ছে না, দাবি প্রশাসনের একাংশের। তাঁদের দাবি, বৈঠকে গ্রাহকেরা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারেন। খাদ্য সামগ্রী নিতে তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা-ও বৈঠকে জানা যায়। খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “দুয়ারে রেশন নিয়ে ব্যস্ততার কারণে গ্রাহকদের সঙ্গে বৈঠক থমকে গিয়েছে। ফের বৈঠক শুরু হবে।”

নজরদারির অভাবেই রেশনে খাদ্য সামগ্রী বিক্রির কারবার ‘চেন’ পদ্ধতিতে জেলায় চলছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, গ্রাহকদের কাছ থেকে সস্তা দরে রেশন সামগ্রী কিনে নেয় ফড়েরা। সে সামগ্রী আবার মিল মালিকদের হাত ঘুরে ফের রেশন ডিলারদের গুদামে পৌঁছে যায়। হবিবপুর ব্লকের খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক মহম্মদ আলমোবাসেরুল শেখ বলেন, “উপর কেন্দুয়ার টাকা বিলির অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত শুরু হবে। দ্রুত তদন্তের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Malda Ration Dealer Habibpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE