স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়ি থানার দেশবন্ধুপাড়ার জ্যোৎস্নাময়ী হাইস্কুলের সামনের ওই ঘটনায় শুক্রবার অভিযোগ দায়ের হয়। তবে কে বা কারা ওই চেষ্টা করেছিল তা ছাত্রীর পরিবারের কাছে পরিষ্কার নয়।
স্কুলের সামনে থেকে মঙ্গলবার বিকেলে এক গাড়ির চালক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বলে ছাত্রীর অভিযোগ। পরে একটি গলির মুখে চালক গাড়ি থেকে নেমে পাশে যেতেই সে পালায়। এক মহিলার সাহায্যে বাড়ি পৌঁছে ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। দু’দিন হাসপাতালে থাকার পর এ দিন মেয়েটিকে নিয়ে অভিভাবকেরা স্কুলে আসেন। শিক্ষিকারা ছাত্রীর পরিবার এবং অন্য অভিভাবকদের নিয়ে থানায় যান।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ অফিসারেরা ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। দেশবন্ধুপাড়া-বাবুপাড়ার মতো জনবহুল এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও কোনও প্রত্যক্ষদর্শী মেলেনি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা।
কিশোরীর দাবি, গলা, মুখ চেপে চালক তাকে গাড়িতে তোলে। হাতেও আঁচড় লেগেছিল। কিডনি পেয়ে গিয়েছি বলে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের কথা মোবাইলে আলোচনা করছিল চালক। সে গাড়ি থেকে নেমে অন্যমনস্ক হতেই দরজা খুলে পালায় কিশোরী। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মজদুর কলোনির বাসিন্দা কিশোরীর মা, ঠাকুমা জানান, ‘‘ওই দিন স্কুল থেকে একাই ফিরছিল। মেয়েটার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারত। দেরি হলেও পুলিশকে সব জানিয়েছি।’’
এ দিন সকালে স্কুলে ভিড় করেন আরও অভিভাবকেরা। পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি তো বটেই স্কুল কতৃর্পক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা জানান, টিফিন পিরিয়ডে, ছুটির সময় স্কুলের সামনে ছেলেদের ভিড় লেগেই থাকে। স্কুলের পাশের গলি থেকে মাঝেমধ্যেই স্কুলের জানলা লক্ষ্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা করা হয়। অভিযোগ, ব্যবস্থা না নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ উল্টে মেয়েদের জানলা বন্ধ করে বসে থাকতে বলেন। স্কুলের তরফে খালি মৌখিক ভাবে বিষয়টি আলোচনা করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশান্ত চক্রবর্তীও খবর পেয়ে থানায় যান। তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে লিখিত ভাবে নজরদারি বাড়াতে বলছি। কিশোরীর পরিবার আগে কিছু বলেনি। পুলিশ দেখুক কী হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy