আশঙ্কা: খোলা ভাগাড়ে বাড়ছে চিন্তা। জলপাইগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
কোনও সীমানাপ্রাচীর নেই। কে কখন ঢুকছে, কি করছে তা দেখারও কেউ নেই। জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাগাড়ের অবস্থা এমনই। এ দিকে কলকাতায় ভাগাড় থেকে মৃত প্রাণীর মাংস পাচারের চক্র ফাঁস হয়েছে। তারপরেই আশঙ্কায় ভুগছেন জলপাইগুড়ি শহর ও লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। এই অবস্থায় ভাগাড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথা ভাবছে পুর কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, শহরের ভাগাড়ে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত রয়েছে। এতদিন তা নিয়ে উদ্বেগে না ভুগলেও আতঙ্ক বাড়িয়েছে কলকাতার ঘটনা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার ভাগাড়ে রোজই বহিরাগতরা ঢুকে নানা জিনিস সংগ্রহ করে নিয়ে যান। পুরসভার ভাগাড়ে মৃত পশুর দেহও ফেলা হয়। ফলে কলকাতার মতো এখানে যাতে ভাগাড় থেকে মাংস পাচার কেউ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখার দাবি তুলেছেন বাসিন্দাদের একটি অংশ। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, ‘‘চিন্তাভাবনা চলছে। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে।’’
জলপাইগুড়ি তিস্তা নদীর পাশে বালাপাড়ায় কয়েক একর জমিতে পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড হলেও এখনও পাঁচিল তৈরি হয়নি। ফলে ভাগাড়ের যেকোনও দিক দিয়েই বহিরাগতরা ঢুকে যাচ্ছেন। অনেকসময় ট্রাক্টরে করে জিনিস নিয়ে চলে যাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে ভাগাড়ের উপরে নির্ভর করেই অনেকের পেট চলে। তাঁদেরই একজন শেফালি সাহা বলেন, ‘‘একদিন ভাগাড়ে না এলে খাবার জুটবে না। আমরা আমাদের কাজের জিনিসগুলো কুড়িয়ে নিয়ে যাই। তারপর বিক্রি করি।’’ শহরের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘‘যারা পেশার তাগিদে ভাগাড়ে আসেন। তাঁরা আসুক। কিন্তু ভাগাড় খোলা থাকার সুবিধে নিয়ে যাতে কেউ অপকর্ম না করতে পারেন তা দেখা দরকার।’’
জলপাইগুড়ি পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের আধিকারিক মহেশ রাজভর জানান, ভাগাড়ের নিরাপত্তার বিষয় খতিয়ে দেখছি। দ্রুত সীমানা প্রাচীন তৈরি হয়ে যাবে বলে তাঁর আশ্বাস। দিনের বেলায় একজন কর্মী ভাগাড়ের দেখাশোনা করেন বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy