প্রতীকী ছবি।
স্কুল ছাত্রের ব্যাগে কী করে এল বোমা, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
শনিবার পরীক্ষা দিয়ে বেরোনোর পরে এক ছাত্রের ব্যাগ থেমে বোমা মেলে। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ধৃত ছাত্রকে দিনহাটা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বোমা ওই ছাত্র কোথায় পেল, এর পেছনে কেউ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে পুলিশ। ওই ছাত্রের কাছে থাকা একটি ব্যাগে দুটি বোমা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, ওই ঘটনার পিছনে ত্রিকোণ প্রেম থাকতে পারে। পুলিশ সূত্রের দাবি, কারও উপরে হামলা করতেই ওই বোমা সে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ওই বোমা সে কোথা পেল? কারা তার হাতে বোমা তুলে দিল। দিনহাটার এসডিপিও মানবেন্দ্র দাস বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে।”
পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে কোচবিহারে, বিশেষত দিনহাটায় বারবার বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বেআইনি অস্ত্র কারবারিরাও এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের কারও কাছ থেকে ওই ছাত্র বোমা কিনেছে কি না তা দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রের এক শিক্ষক বলেন, “ওই ছাত্র স্কুলে সব সময় আসে না কিন্তু তার ব্যাগে বোমা থাকতে পারে তা সবার ধারণার বাইরে।”
সারা ভারত যুবলিগের রাজ্য সম্পাদক আব্দুর রউফ ঘটনায় শাসক দলকেই বিঁধেছেন। তিিন অভিযোগ করেন, গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে দিনহাটায় পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “এই অবক্ষয়ের দায় নিতে হবে বর্তমান শাসক দলকেই।” বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “একজন ছাত্রের ব্যাগ থেকে বোমা উদ্ধার ভাবাই যায় না। গত কয়েক বছর ধরে দিনহাটায় এই সামাজিক অবক্ষয় শুরু হয়েছে। তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতির দিনহাটা মহকুমা সভাপতি সত্যজিৎ কার্জী বলেন, “স্কুলছাত্রের ব্যাগের থেকে বোমা উদ্ধার এমন ঘটনা সামাজিক অবক্ষয়েরই একটি দিক। এর থেকে সমাজকে রক্ষা করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy