Advertisement
২১ মে ২০২৪

১২ কিমি যেতেই এক ঘণ্টা কাবার

দোমহনা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ১২ কিলোমিটারে ফের অসংখ্য ছোট ও বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

বেহাল: এমনই দশা জাতীয় সড়কের। নিজস্ব চিত্র

বেহাল: এমনই দশা জাতীয় সড়কের। নিজস্ব চিত্র

গৌর আচার্য
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪৮
Share: Save:

কয়েকমাস আগে কিছুটা সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পরে জাতীয় সড়কের অবস্থা আবার বেহাল হয়ে পড়েছে উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায়।

দোমহনা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ১২ কিলোমিটারে ফের অসংখ্য ছোট ও বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে ডালখোলা এলাকায় ঘনঘন রেলগেট বন্ধ হওয়া ও অন্যদিকে বেহাল জাতীয় সড়কের জেরে দোমহনা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত নিয়মিত যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস বা ট্রেকারে রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা যেতে যেখানে সময় লাগার কথা প্রায় পৌনে দুঘণ্টা, সেখানে বর্তমানে ডালখোলা পৌঁছতে সাড়ে তিন থেকে চারঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজই নিম্নমানের হয়েছে বলে সরব হয়েছেন বাসমালিকেরা।

যাত্রীদের দুর্ভোগ ও নিজেদের লোকসান রুখতে ইতিমধ্যেই বাসমালিকেরা জেলাশাসক ও জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। প্রশাসনের অবশ্য দাবি, জুন মাসে প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার বেহাল জাতীয় সড়ক মেরামতি করানো হয়। এরপর দফায় দফায় বৃষ্টি, বন্যা ও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের চাপে বেশকিছু এলাকায় ফের জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে।

রায়গঞ্জের কুমারডাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা গুলজার হোসেন ডালখোলার ভূষামণি-১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি জানান, দোমহনা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক এতটাই বেহাল যে যানজটের জেরে বাস বা ট্রেকারে ওই ১২ কিমি রাস্তা যেতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক বলেন, ‘‘ডালখোলায় ঘনঘন রেলগেট বন্ধ ও দোমহনা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত বেহাল জাতীয় সড়কের জেরে যানজট লেগে রয়েছে। বেহাল জাতীয় সড়কে চলাচল করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই বাস ও ট্রেকারের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাচ্ছে। বাসমালিকেরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।’’

জেলাশাসক আয়েশা রানির দাবি, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রশাসনের নিয়মিত কথাবার্তা হচ্ছে। জাতীয় সড়কের বেহাল অংশগুলি দ্রুত মেরামতের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ডালখোলা শহরের জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রেন চলাচল করে। তাই ঘনঘন রেলগেট বন্ধ করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের কিছু করণীয় নেই। তাই বাইপাস নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডালখোলায় পুরোপুরি যানজট সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।’’ তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এ বারও প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে জাতীয় সড়কের গর্ত বোজানোর কাজ শুরু করেছেন। তবে তা কতদিন স্থায়ী হয় তা নিয়েই চিন্তায় যাত্রীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

National Highway Damaged Potholes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE