তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলের দুই সদস্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বামফ্রন্ট পরিচালিত পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সাত সদস্য।
সোমবার দুপুরে হেমতাবাদ ব্লকের নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান উপেনচন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে ওই নয় পঞ্চায়েত সদস্য অনাস্থা এনেছেন। এ দিন সকালে ওই পঞ্চায়েতের সিপিএমের চার, সিপিআইয়ের এক ও কংগ্রেসের দুই সদস্য হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে শাসক দলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দত্ত। এরপর মৃত্যুঞ্জয়বাবুর নির্দেশে তৃণমূলে যোগদানকারী কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সাত সদস্য ও তৃণমূলের দুই সদস্য দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে গিয়ে হেমতাবাদের বিডিওর কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেমতাবাদ ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতই বামফ্রন্ট দখল করলেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারমধ্যে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতই অনাস্থার মাধ্যমে দখল করে তৃণমূল। বামফ্রন্টের দখলে থাকা বাকি একমাত্র নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতও এ দিন অনাস্থা আনা হয়।
হেমতাবাদের বিডিও সঞ্জয় ঠাঁটাল বলেন, ‘‘প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রমাণ করতে প্রশাসনের তরফে তলবি সভা ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই তলবি সভার আয়োজন করা হবে।’’
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৭ আসন বিশিষ্ট নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি আসন দখল করে বামফ্রন্ট। কংগ্রেস তিনটি ও তৃণমূল দু’টি আসন দখল করে। প্রধান নির্বাচিত হন সিপিএমের উপেনবাবু। তৃণমূল সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ফের রাজ্যের ক্ষমতা দখল করায় হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয়বাবুর অনুরোধে কংগ্রেস ও বামেদের ওই সাত সদস্য শাসকদলে যোগ দিতে রাজি হয়ে যান।
মৃত্যুঞ্জয়বাবুর দাবি, ‘‘উন্নয়নের স্বার্থেই কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা তুলে দিলেন।’’ হেমতাবাদের সিপিএম বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যদের পদ ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে দলে টেনে ব্লকের সবগুলি পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে নিল তৃণমূল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy