Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Chachal Durga Puja

রাজপরিবারের দেবী চণ্ডী আজ সর্বজনীন

ডুমরো মিশ্র বাড়ির পুজোর সূচনা করেছিলেন জমিদার গোলকনাথ মিশ্র। মহালয়ার পরদিন প্রতিপদে পুজো শুরু হয়।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বাপি মজুমদার 
চাঁচল শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৫৯
Share: Save:

একটি পুজো শুরু হয় রাজার উদ্যোগে। অন্য পুজোটি শুরু করেছিলেন স্থানীয় জমিদার। মালদহের চাঁচলের ভাকরি পঞ্চায়েতের উত্তর সিংহপাড়া ও ডুমরো মিশ্র বাড়ির পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। মিশ্রবাড়ির পুজো এখন করেন জমিদারের উত্তরপুরুষরা। পারিবারিক হলেও তা সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। আর রাজার প্রতিষ্ঠিত সিংহাপাড়ার পুজো করেন স্থানীয়েরা।

ডুমরো মিশ্র বাড়ির পুজোর সূচনা করেছিলেন জমিদার গোলকনাথ মিশ্র। মহালয়ার পরদিন প্রতিপদে পুজো শুরু হয়। পুজোর ক’দিন ধরে খাওয়ানো হয় এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে। সপ্তমী থেকে চার দিন ধরে বসে জমজমাট মেলা। ওই পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন লাগোয়া ১০টি এলাকার মানুষ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ন্যাস নিয়ে বাড়ি ছাড়ার ২৫ বছর বাদে গোলকনাথকে এক দিন দেখে ফেলেন চাঁচলের রানি দাক্ষায়নী। রানির নির্দেশে ডুমরোয় জমিদারি দিয়ে সেখানেই থাকার বন্দোবস্ত হয় গোলকনাথের। জমিদারি লাভ করে স্থানীয়দের কথা ভেবে ১৬৩ বছর আগে পুজো শুরু করেন গোলকনাথ। পরিবারের তরফে অমিত মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা আয়োজন করলেও এই পুজো সর্বজনীনতার ছোঁয়ায় সমৃদ্ধ।’’

আর সিংহাপাড়ার পুজোয় দেবী চতুর্ভুজা। দেবী পূজিতা হন চণ্ডীরূপে। পুজো শুরু করেছিলেন চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্র। ওই এলাকায় রাজার কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন নেহাল সিংহ। একবার পুজোর আগে সেখানে যান রাজা। এলাকায় পুজো না হওয়ায় তাদের বিষণ্ণতার কথা রাজাকে জানান স্থানীয়েরা। রাজার উদ্যোগে শুরু হয় পুজো। রাজা কিছু জমি দান করেন। তাতে ধান, পাট চাষ হয়। সেই ফসল বিক্রির টাকা থেকেই করা হয় পুজোর আয়োজন। দুটি পুজোতেই পাঁঠা বলি দেওয়ার প্রথা আজও রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chachal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE