—নিজস্ব চিত্র।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না হওয়া খিচুড়িতে কিলবিল করছে পোকা! আর সেই খিচুড়ি শিশুদের পাতে পড়তেই হুলস্থুলকাণ্ড ঘটে গেল মালদহের চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েতের বাহারাবাদ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। তার পরেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে চাঁচল থানার পুলিশ। শেষমেশ পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খারাপ খাবার দেওয়া নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক কর্মী বলেন, ‘‘রান্নার করার সময় কোনও রকম পোকা ছিল না। পরে হয়তো অন্য কোনও ভাবে খাবারে এই পোকা চলে আসতে পারে। এই ঘটনায় আমাদের কাজে কোনও গাফিলতি নেই। এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতি দিনের মতো শনিবার বাহারাবাদ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রায় ৫০ জন শিশুর জন্য খিচুড়ি, সবজি রান্না করা হয়েছিল। রান্নার পর সেই খাবার শিশুদের পাতে দেওয়ার সময় দেখা যায়, কয়েক জনের পাতের খিচুড়িতে পোকা কিলবিল করছে। এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই অসন্তোষ ছড়ায় অভিভাবকদের মধ্যে। অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘বাচ্চারা যে খিচুড়ি খায়, তাতে কী করে পোকা থাকে? আমরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। উল্টে ওরা নানা রকম অজুহাত দেখাতে শুরু করে।’’
আকরাম শেখ নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘এর আগেও এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেছিলাম। খিচুড়ি দেওয়ার পর থালা ভর্তি পোকা দেখে আমরাও ঘাবড়ে গিয়েছি। এই ঘটনার যারা দোষী, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।’’
এ বিষয়ে স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল হাই বলেন, ‘‘ঘটনাটি মারাত্মক। এত বড় ভুল কী ভাবে হল, তা অবশ্যই আমরা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের কাছে জানতে চাইব। পাশাপাশি, পুরো বিষয়টি নিয়েও ব্লক প্রশাসনকে জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy