নির্মাণে গতি আনতে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির যাবতীয় কাজ একটি টেন্ডারেই করবে রাজ্য সরকার। চলতি মাসেই রাজ্য সরকার আইন বিভাগের বাজেটে ৩৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে চলেছে। আইন দফতরের দাবি, সব কিছু ঠিকঠাক চললে মাস দেড়েকের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কাজে গতি তো বটেই একটি প্রকল্প ধরে কাজ হলে সমন্বয়ও থাকবে। পূর্ত দফতরের দাবি, সে কারণেই বাতিল হয়েছে পর্যায়ক্রমে কাজ করার আগের সিদ্ধান্ত।
সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবন তৈরির পুরোনো নকশা কলকাতা হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছিল। নতুন নকশা তৈরি করে হাইকোর্টের অনুমোদন মিলেছে গত বছরের শেষে। এই প্রক্রিয়াতে বছরখানেকের বেশি সময় লেগেছে। হাইকোর্টের অনুমোদনের পরে পূর্ত দফতর নতুন করে ব্যয়বরাদ্দ তৈরি করে আইন দফতরে পাঠায়। তাতে আইন দফতর প্রাথমিক সম্মতি দেওয়ার পরে টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‘চলতি মাসেই পূর্ত দফতরকে অর্থ বরাদ্দ করে দেব। আশা করছি খুব দ্রুত জলপাইগুড়িতে ইঁট গাঁথার কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’
গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জলপাইগুড়ি সফরের পরে সেই প্রক্রিয়ায় গতি এসেছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠকের পরে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো তৈরির প্রসঙ্গ তোলেন। দ্রুত বেঞ্চের কাজ যাতে শুরু হয় সে বিষয়ে আইনজীবী সংগঠনকে উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে ভবন তৈরিতে রাজ্যের তরফে শেষ পদক্ষেপ অর্থাৎ টেন্ডার প্রক্রিয়াও দ্রুত সারতে চাইছে আইন এবং পূর্ত দুই দফতরই।
চারতলা আদালত ভবন, বিচারপতিদের অফিস-আবাসন, লাইব্রেরি, প্রশাসনিক অফিস মিলিয়ে পুরো চত্বরের নির্মাণে সাড়ে তিনশো কোটির বেশি বরাদ্দ ধরা হয়েছে। পূর্ত দফতরের অধীক্ষক বাস্তুতার সুব্রত হাইত বলেন, ‘‘এক সঙ্গে এত বড় কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সব খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। কাজ চলছে।’’
অতীতে একাধিকবার সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে নানা আশ্বাস-পরিকল্পনা শুনেছে জলপাইগুড়িবাসী। বাসিন্দাদের কারও দাবি, ভবনের কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত আশ্বাসে তাঁদের আস্থা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy