এনজেপি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে চলছে উচ্ছেদ অভিযান। — নিজস্ব চিত্র।
নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনের প্লাটফর্ম ‘দখল’ করে থাকা একাধিক স্টল ভেঙে দিল রেল। ঘটনার জেরে দিশেহারা কয়েকশো ভেন্ডার৷ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃত্ব। যদিও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল জানিয়েছে, একাধিক বার নোটিস জারি করা হয়েছিল৷ সেই নোটিসকে গুরুত্ব না দেওয়ায় স্টল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এনজেপি স্টেশনের প্লাটফর্ম চত্বরে থাকা স্টল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই জট ছিল। যা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু আদালত উচ্ছেদের রায় দেয়। আদালতের সেই রায়কে সামনে রেখে শুক্রবার সকালে বিশাল আরপিএফ এবং জিআরপি বাহিনী প্ল্যাটফর্ম ‘দখল’ করে থাকা স্টল ভেঙে চুরমার করে দেয়। এনজেপি-র এডিআরএম সঞ্জয় চিল ওয়ারওয়ার বলেন, ‘‘প্রায় ৫০টি দোকান আমরা তুলে দিয়েছি। তাঁরা প্ল্যাটফর্ম দখল করে বসেছিলেন। এনজেপি স্টেশন ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস’ স্টেশনে পরিণত হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ হয়েছে। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে।’’
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বখ্যাত স্টেশন হতে গেলে হকারদের এ ভাবে উচ্ছেদ করতে হবে কেন? এ ক্ষেত্রে রেলের মানবিক মুখ কোথায় গেল? প্রশ্ন তুলছেন উচ্ছেদ হওয়া হকারদের একাংশ। একই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নও। আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে গোটা বিষয়টা দেখা দরকার ছিল। এই মানুষগুলো এখন যাবে কোথায়? অবশ্যই আদালতের নির্দেশ রয়েছে, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার মতো সামর্থ এই হকারভাইদের নেই। আমরা সমস্ত কিছুর পরেও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পুনর্বাসনের জন্য এগোব। মানুষ বাদ দিয়ে কোনও কিছু হয় না। মানুষের পেটে লাথি মারা হল। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত কেন্দ্রীয় সরকার। রেলের অধীনস্থ অনেক জায়গা রয়েছে। ওঁদের সঙ্গে প্রথম থেকেই ছিলাম। পুনর্বাসনের জন্য আমরা আগামিদিনে পদক্ষেপ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy