ফাইল চিত্র।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে রাজ্যের চা শিল্পে ব্যবহার করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাল রাজ্য সরকার।
জলপাইগুড়িতে রাজ্যের টি ডিরেক্টরেটের ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী এই প্রস্তাব ভারতীয় চা পর্ষদকে পাঠিয়েছেন বলে জানান। রবিবার জলপাইগুড়িতে দলের যুব সংগঠনের কর্মসূচিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন পর্ষদের তরফে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সঙ্কেতও মিলেছে।
একশো দিনের প্রকল্পে চা বাগানের সেচ নালা তৈরি ও সংস্কার, চা গাছের পরিচর্যা-সহ চা চাষের বিভিন্ন কাজ করানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কল্যাণী। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি রাজ্য সরকারের চা-বিষয়ক বৈঠকে ভারতীয় চা পর্ষদের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই সভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই প্রস্তাব দিয়েছেন। চা বাগানে পঞ্চায়েতিরাজ চালু করা হলেও এতদিন একশো দিনের প্রকল্পে চা বাগানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। দ্রুত এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগী হওয়া জরুরি ।"
কল্যাণীর এ দিন অভিযোগ করেন, নানা অছিলায় প্রায়ই উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সের বাগান বন্ধ করে মালিকেরা পালিয়ে যান। তখন অসহায় হয়ে পড়েন শ্রমিকেরা। একশো দিনের প্রকল্প বাগানে চালু থাকলে শ্রমিকদের কিছুটা আর্থিক সহায়তা হবে বলে তাঁর দাবি। এছাড়া, রুগ্ণ চা বাগান-সহ অন্য সব বাগানে এই প্রকল্প চালু করা গেলে শ্রমিকদের অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা হবে বলে তাঁর বক্তব্য।
এ দিন চা শিল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, চা শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বাপী গোস্বামী বলেন, ‘‘চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে চলছে রাজ্যই। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উস্কানি না দিয়ে চা শিল্পপতি এই নেতা তার নিজের বাগান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের চা বাগানগুলির দিকে নজর দিন। একশো দিনের প্রকল্প চা বাগানে চালুর ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। আমাদের দলের সাংসদ চা শ্রমিকদের জন্য পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে গিয়েই বেগ পেয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy