তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
রায়গঞ্জের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দলের দুই সদস্যের মধ্যে মারপিটের অভিযোগ ঘিরে ফের তৃণমূলে দ্বন্দ্বের আঁচ প্রকাশ্যে। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই সদস্য মলয় সরকার ও গৌতম সরকার মারপিটে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। মলয়ের উপর হামলা চালিয়েছেন গৌতম-- এই অভিযোগ তুলে গৌতমকে গ্রেফতার ও পঞ্চায়েত সদস্যের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে বুধবার আন্দোলনে নামেন মলয়ের অনুগামী তৃণমূলের শতাধিক কর্মী-সমর্থক।
অভিযোগ, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ তাঁরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর পরে তাঁরা পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন রায়গঞ্জ-বিন্দোল রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় আড়াইঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফর চলাকালীন দলের দ্বন্দ্ব এ ভাবে রাস্তায় নেমে আসায় অস্বস্তিতে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি পূর্ণেন্দু দে বলেন, “দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। দলের তরফে দুজনকে বসিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্বেও কেনও এ দিন বিক্ষোভ হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মলয়ের অভিযোগ, “এক বছর আগে গৌতম পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজে আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। দুমাস আগে আমি ব্লক প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সেই রাগেই উনি আমাকে মারধর করেছেন।” তাঁর দাবি, এ দিন তাঁর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দারা গৌতমকে গ্রেফতার ও তাঁকে পঞ্চায়েতের সদস্যপদ থেকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।
গৌতম পাল্টা বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে দলের জেলা নেতৃত্ব মলয়ের সঙ্গে আমার ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও উনি দলের পতাকা-সহ তাঁর অনুগামীদের আন্দোলনে নামিয়ে দলবিরোধী কাজ করেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy