Advertisement
০৫ মে ২০২৪

লক্ষ্য মালদহ, পরপর জনসভা করছে বিজেপি

কংগ্রেসের গড়ে পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। এখন থেকেই জেলা সফর শুরু করে দিয়েছেন একের পর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। চলতি সপ্তাহে জেলার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক ও জনসভা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৯
Share: Save:

কংগ্রেসের গড়ে পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। এখন থেকেই জেলা সফর শুরু করে দিয়েছেন একের পর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। চলতি সপ্তাহে জেলার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক ও জনসভা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ। আজ, শুক্রবার ফের জেলা সফরে আসছেন কেন্দ্রের আর এক মন্ত্রী এম জে আকবর। যদিও বিজেপির এই কর্মসূচিকে আমল দিতে নারাজ কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব।

বিগত বিধানসভা নির্বাচনে মালদহের ১২টি আসনেই ভরাডুবি ঘটেছে তৃণমূলের। বৈষ্ণবনগর আসনটি পায় বিজেপি। বিজেপির ভোটের হার ছিল ২০.৮ শতাংশ। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের ভোটের শতকরা হারের (৭.৫ শতাংশ) থেকে অনেকটাই বেশি। লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির ভোট বেড়েছে মালদহে। মালদহের দু’টি পুরসভার ৪৯টি আসনের মধ্যে ৭টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এ ছাড়া গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ৭৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য এবং ১৮ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জয়ী হয়েছিলেন। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জেলাতে ভালো ফলের আশায় এখন থেকেই ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব।

গত, ৭ এপ্রিল মালদহে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ। ওই দিন তিনি জেলার নেতা নেত্রীদের নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক করেছিলেন। একই সঙ্গে ইংরেজবাজারের অমৃতিতে গিয়ে জনসভাও করেছিলেন। কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়গুলি তুলে ধরেন তিনি। সেই সঙ্গে নেতা কর্মীদের তিনি নির্দেশ দেন মোদী সরকারের সাফল্য পঞ্চায়েতের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দিতে।

আকবর আজ বিকেলে গাজলে জনসভায় যোগ দেবেন। কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য বলেন, ভোটের ফলাফলেই প্রমাণিত হবে মালদহের মাটি কার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Malda Public Rally
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE