রাজুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা অজয়ের। — ফাইল চিত্র।
এ বার বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকে সামাজিক মাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পাহাড়-সমস্যা মেটানোর দাবি তুলেন হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ড। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদের জন্মদিন ছিল। সে দিন নিজের ফেসবুক পেজে সাংসদকে ‘ট্যাগ’ করে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান অজয়। সেই সঙ্গে সরকারি না হলেও এ বছর পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সের মানুষ ভাল খবর শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে হামরো পার্টির সভাপতি লেখেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাংসদ ওই পোস্টে অজয়কে ধন্যবাদ জানালেও আর কোন কথাই বলেননি। তার পরে, অজয়ের পোস্টের নানা মন্তব্যকে ঘিরে নানা আলোচনা চলছে।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানালেও বাকি সমস্যার সমাধান নিয়ে কেন সাংসদের মুখে কুলুপ, দার্জিলিঙের বাসিন্দাদের একাংশ সে প্রশ্ন তুলেছেন। পাহাড়ের রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধান, ১১ জনজাতির তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি নিয়ে সাংসদ কেন কিছু বলছেন না, সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আবার সামজিক মাধ্যমে ‘হুমকিও’ পেয়েছেন সাংসদ। দার্জিলিঙের এক বাসিন্দা সরাসরি সাংসদকে বলেছেন, ২০২৪ সালের আগে কেন্দ্র বা সাংসদ এই বিষয়গুলির সমাধান করতে না পারলে রাজু বিস্তাকে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হবে না। একের পর এক এমন সামজিক ‘পোস্ট’ নিয়ে অবশ্য সাংসদ মন্তব্য করতে চাননি।
হামরো পার্টির নেতাদের একাংশ জানান, ২০০৯ সাল থেকে পাহাড়ে বিজেপি লোকসভা ভোটে জিতছে। বিমল গুরুংয়ের হাত ধরে পরপর সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু পাহাড়ের কোনও সমস্যা কেন্দ্র মেটায়নি। এ সব দাবিদাওয়া তো দূর, একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা হলেও তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অজয়ের পোস্টে দুই নেতাকে এক সঙ্গে কাজ করার কথাও অনেকে বলেছেন। দল সূত্রের খবর, পাহাড়ে জিএনএলএফ ছাড়ার সময় অজয় দলের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিয়েছেন। দার্জিলিং ক্যাপিট্যাল হলের সামনে আলাদা রাজ্যের ব্যানার টাঙিয়ে আন্দোলন চলছেই। অজয় সেই আন্দোলনের মঞ্চ থেকেই বলেছেন, ‘‘আমরা এ বার টানা লক্ষ্য রাখব। বিভিন্ন প্রশ্নও তুলব। রাজনৈতিক দলগুলি পাহাড় সমস্যা নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিল, তার কী হচ্ছে তা এ বছর দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy