প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা নির্বাচনের এখনও দেরি রয়েছে। তবুও রাজনৈতিক দলগুলি প্রস্তুতি শুরু করেছে। কখনও ভার্চুয়াল বৈঠক কখনও বা দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। যদিও ইসলামপুরের তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন সে দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও প্রার্থী প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল শুক্রবার বলেন, ‘‘প্রার্থী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি।’’
গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীকে হারিয়ে কংগ্রেস থেকে জয়ী হয়েছিলেন কানাইলাল আগরওয়াল। পরবর্তীতে কানাইয়া ইসলামপুরের পুরবোর্ড নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সে সময় কানাইয়া করিমের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে । ইসলামপুর কলেজ নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হলে বেশ কিছু পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় করিমকে। নিজে দল তৈরি করেন করিম। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্যই কানাইয়াকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়। বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলে ফিরিয়ে আনা হয় করিমকে। সেই সময় করিমের হয়ে প্রচার দেখা যায় কানাইয়াকে। পরবর্তীতে ফের দূরত্ব বাড়ে কানাইয়া করিমের মধ্যে। যদিও নির্বাচন হারলেও জেলা সভাপতি করা হয় কানাইয়াকে। মাসখানেক আগে রাজ্য সহ-সভাপতির দায়িত্বও পান করিম। এমন পরিস্থিতিতে এ বার প্রার্থী কে হবেন সে দিকেই তাকিয়ে এলাকার মানুষ।
ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দশ বারের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। রাজনৈতিকভাবে কানাইলাল আগরওয়ালেরও প্রভাব রয়েছে। দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান ও ইসলামপুর বিধানসভা থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতির স্বামী জাভেদ আখতার বলেন, ‘‘তৃতীয় কাউকেও প্রার্থী করতেই পারেন দল।" এ দিন করিমকে ফোনে না পাওয়া গেলেও করিম অনুগামী কামাল উদ্দিন বলেন, "দলনেত্রীই প্রার্থী ঠিক করেন। আমরা আশাবাদী, করিম চৌধুরীই প্রার্থী হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy