—প্রতীকী চিত্র।
বুধবার ভর দুপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করে খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ রাহি নিজের মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই পিছন থেকে মোটরবাইকে করে চার জন তাড়া করে কাছ থেকে গুলি করে। সবার মুখই কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা এবং এর পিছনে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা, নানা প্রশ্নও উঠছে। তবে তদন্তকারী অফিসারদের একাংশের অনুমান, ‘সুপারি কিলার’ দিয়ে খুন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা বিহার থেকে এসেছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন রাহি পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরনোর সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতীরা পিছু নেয়। তাই প্রধান কখন অফিস থেকে বেরোন, সে খবর আততায়ীদের কাছে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানের সঙ্গে অফিস থেকে এক সদস্যও বেরিয়েছিলেন। পুলিশ ওই সদস্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রাহি গত পঞ্চায়েত বোর্ডে উপপ্রধান ছিলেন। এ বারে প্রধান নির্বাচিত হন। তাঁর নিজস্ব ব্যবসাও রয়েছে। এ বারে প্রধান পদ নিয়ে বিরোধ না থাকলেও উপ প্রধান নিয়ে দ্বন্দ্বও ছিল। এ নিয়ে দলের মধ্যে ‘সমস্যা’ তৈরি হয়েছিল দাবি তৃণমূল সূত্রের। তবে পরে, তা মিটে যায়। খুনের পিছনে ‘চেয়ার’-এর লড়াই জড়িয়ে রয়েছে কি না, সন্দেহ রয়েছে দলের একাংশের। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, খুনের সঙ্গে দলের যোগসূত্র নেই।
প্রধানের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, রাহির ব্যক্তিগত কোনও শত্রু ছিল না। একই অভিমত প্রতিবেশীদেরও। সবার সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলতেন। দীর্ঘদিন রাজনীতিতে যুক্ত। মৃতের ছেলে মাশরুফের দাবি, “বাবার ব্যক্তিগত কোনও শত্রু ছিল না। বাড়িতেও কখনও আশঙ্কার কথাও বলেননি। কিন্ত কারা, এর পিছনে কিছুই বুঝতে পারছি না!’’ ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডলের দাবি, “তদন্ত চলছে। সব দিকেই খোঁজ-খবর চলছে।’’ জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, ‘‘মনে হয়, এর পিছনে একটি চক্র যুক্ত। চক্রটির কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই তারা প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। তবে এর সঙ্গে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের যোগ নেই। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy