Advertisement
১৮ মে ২০২৪

ক্ষোভের মুখে পড়লেন সাংসদ

কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের রাশ টানতে সভা ডেকে নিজেও ক্ষোভের মুখে পড়লেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। সাংসদের নির্দেশে বুধবার শিলিগুড়ির অগ্রসেন ভবনে প্রার্থী, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, আহ্বায়কদের ডেকে পাঠায় দলের জেলা নেতৃত্ব। সেই সভার শুরুতেই প্রার্থী এবং কর্মীদের একাংশ সাংসদের কাছে জানতে চান, এতদিন কোথায় ছিলেন?

প্রার্থীদের নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

প্রার্থীদের নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৫ ০২:২২
Share: Save:

কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের রাশ টানতে সভা ডেকে নিজেও ক্ষোভের মুখে পড়লেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। সাংসদের নির্দেশে বুধবার শিলিগুড়ির অগ্রসেন ভবনে প্রার্থী, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, আহ্বায়কদের ডেকে পাঠায় দলের জেলা নেতৃত্ব। সেই সভার শুরুতেই প্রার্থী এবং কর্মীদের একাংশ সাংসদের কাছে জানতে চান, এতদিন কোথায় ছিলেন?

শিলিগুড়ি পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন থেকেই বিজেপিতে তুমুল ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়। তালিকা প্রকাশের পরে বিক্ষোভে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয় দলের নেতাদের। টাকার বিনিময়ে প্রার্থী বাছাই করার অভিযোগ ওঠে দলীয় নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে। দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ পার্টি অফিস থেকে শুরু করে বিক্ষোভ দেখায় দলের জেলা সভাপতির বাড়িতেও। সে সময় সাংসদ শিলিগুড়িতে না থাকায়, তাঁর ভূমিকা নিয়েও দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ প্রশ্ন তোলেন। সে সময় সাংসদ শিলিগুড়িতে থাকলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো বলেও এ দিনের সভায় অভিযোগ জানান অনেকে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে বিক্ষোভে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ শুনতে হয়েছে সাংসদকে।

ক্ষোভ প্রশমিত করতে, এবার থেকে ভোট প্রচারের বিষয়ে তিনি নিয়মিত নজরদারি চালাবেন বলে সভা থেকেই দলীয় কর্মী-সমথর্কদের বার্তা দিয়েছেন সাংসদ। তিনি দিল্লিতে থাকলেও, সহজেই যোগাযোগ রাখতে প্রার্থী বা তাঁর এজেন্টের মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপ অ্যাপলিকেশনের অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শও দিয়েছেন সাংসদ। দাদার মৃত্যুর কারণেই ভোট ঘোষণার পরে শিলিগুড়িতে আসতে পারেননি বলে জানান সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘দাদা আমার অভিভাবকের মতো ছিলেন। তাঁর মৃত্যু এবং পরবর্তীতে নানা আচার-উপাচারের জন্য শিলিগুড়িতে আসতে পারিনি। তবে এবার থেকে আমি নিয়মিত প্রচারের তদারকি করব।’’

সাংসদ জানিয়েছেন, আগামী সোমবার থেকে তিনি শিলিগুড়ির প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে প্রচার চালাবেন। হোয়াটস অ্যাপে নিয়মিত প্রচারের তদারকিও করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মাঝে হয়ত সংসদের অধিবেশনের কারণে আরও একবার দিল্লি যেতে হতে পারে। তখন হোয়াটস অ্যাপে আমাকে প্রচারের খুঁটিনাটি জানাবেন। তাহলে আমি দিল্লিতে বসেও শিলিগুড়ির সব খবরে ওয়াকিবহাল থাকব।’’ কর্মী-সমর্থকদের অনুপ্রাণিত করতে ঘণ্টাখানেক বক্তব্য রাখেন তিনি।

বিজেপি সূত্রের খবর, কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ মেটাতে সাংসদ নিজেই এ দিনের বৈঠক ডাকেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন। দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে কর্মী-সমর্থকদের ‘পাশে’ থাকার বার্তা দিতেই সাংসদের সভা-উদ্যোগ বলে দল সূত্রে জানা গিয়েছে।

দলের জেলা সভাপতি রথীন বসু বলেন, ‘‘কর্মীদের ক্ষোভ ছিল। কিন্তু সে সব অতীত। যে কোনও বড় দলেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতে পারে। সাংসদের পরামর্শে প্রার্থীরা উপকৃত হবেন।’’ প্রার্থীদের হয়ে দল-ই ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রচার চালাবে বলে এ দিন জানানো হয়েছে। হাইটেক প্রচারের জন্য শিলিগুড়ির কয়েকটি মোড়ে থাকা এলইডি স্ক্রিনেও দলের প্রতীক সহ প্রচার চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE