Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

কাল থেকে নদীপাড়, বাঁধ মেরামতি শুরু

কোথাও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদ এবং পুলিশ-প্রশাসনকে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

সংসার: তোর্সার জলে ভেসেছে ঘর। কোচবিহার শহর সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় জুটেছে। সেখানেই রান্না। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

সংসার: তোর্সার জলে ভেসেছে ঘর। কোচবিহার শহর সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় জুটেছে। সেখানেই রান্না। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০৫:২৫
Share: Save:

বর্ষার মধ্যেই শুরু হবে বাঁধ মেরামতি, নদীর পাড় বাঁধাইয়ের কাজ। সোমবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির প্রশাসনিক আধিকারিক, জেলা পরিষদগুলিকে নিয়ে জলপাইগুড়িতে বৈঠক করেছেন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে যে সব বাঁধ এবং নদী পাড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলি আগামী বুধবার থেকে মেরামত করা হবে। সাধারণত বড় কোনও ক্ষতি না হলে বর্ষার পরেই এত দিন মেরামতির কাজ শুরু হতো। দফতর সূত্রের খবর, সেচমন্ত্রী চাইছেন, এখন থেকেই কাজ শুরু হোক। তাতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে অন্তত ওই জায়গাগুলিতে নতুন করে ক্ষতির আশঙ্কা এড়ানো যাবে।

বৈঠকের শেষে শুভেন্দু বলেন, “বর্ষা পরিস্থিতি পর্যালোচনার বৈঠক ছিল। গত কয়েক দিন তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। তাতে ইসলামপুরে দোলঞ্চা নদী বাঁধ ছাড়া অন্য কোথাও বড় মাপের ক্ষতি হয়নি। বন্যা পরিস্থিতিও নেই। তবু যে কিছু জায়গায় ছোট-মাঝারি ক্ষতি হয়েছে, সেগুলি বুধবার থেকেই মেরামত করা শুরু হবে।”

কোথাও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদ এবং পুলিশ-প্রশাসনকে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। কোন ব্যারাজ থেকে কবে জল ছাড়া হচ্ছে, তার আগাম খবরও সেচ দফতর পাচ্ছে বলে দাবি।

এ দিনের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ছিলেন। জলপাইগুড়ি জেলার বিধায়ক খগেশ্বর রায়, এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মণও ছিলেন। দক্ষিণ দিনাজপুর ছাড়া অন্য জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা ছিলেন।

বির্তক তৈরি হয় আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর আমন্ত্রণকে কেন্দ্র করে। সৌরভ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতিও।

এ দিন বৈঠক শুরুর পরে সৌরভ ফুল নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে স্বাগত জানাতে আসেন। শুভেন্দু তখন সৌরভকে বৈঠকে থাকতে অনুরোধও করেন। যদিও সৌরভ বৈঠকে না থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে ঘনিষ্ঠদের কাছে সৌরভ দাবি করেন, যেহেতু তিনি আগে বৈঠকের আমন্ত্রণ পাননি, সে কারণে সরকারি বৈঠকে তিনি না থাকাটাই প্রটোকল বলে মনে করেছেন। বৈঠক থেকে বের হয়ে এসে জলপাইগুড়িতে সেচ ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকেন সৌরভ। পরে সেচ দফতরের তরফে সৌরভকে জানানো হয়, তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক হওয়ায়, তাঁর আমন্ত্রণের চিঠি আলিপুরদুয়ারে পাঠানো হয়েছে। যদিও, শেষ পর্যন্ত বৈঠকে যান সৌরভ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE