Advertisement
১৬ মে ২০২৪

উত্তর না পেয়ে সভা ছাড়লেন পুজোর কর্তারা

পুজোর অনুমোদন অনলাইনে পাওয়া যাবে? পরে জানানো হবে।অনলাইনে আবেদন হলে ফি জমা কোথায়? সময় মতো জানানো হবে।পুজো মণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি কোথা থেকে নিতে হবে? স্থানীয় থানা জানাবে।

অনির্বাণ রায় ও সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৯
Share: Save:

পুজোর অনুমোদন অনলাইনে পাওয়া যাবে? পরে জানানো হবে।

অনলাইনে আবেদন হলে ফি জমা কোথায়? সময় মতো জানানো হবে।

পুজো মণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি কোথা থেকে নিতে হবে? স্থানীয় থানা জানাবে।

পুজোর দিন ভিড় সামাল দিতে মণ্ডপে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকবে? এখনই বলা সম্ভব নয়। দশমীর দিন বিকেল চারটের পরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না? এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এমনই অনেক প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর না পেয়ে পুলিশের পুজো প্রস্তুতির বৈঠকের মাঝপথেই শিলিগুড়ির নানা ক্লাবের একাংশ বার হয়ে গেলেন।

শনিবার বর্ধমান রোডের একটি ভবনে পুজো প্রস্তুতির বৈঠক ছিল শিলিগুড়ি পুলিশের। সভা শুরু করতে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টার বেশি গড়িয়ে যায়। উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রথমে বলা হয়েছিল, অনলাইনে পুজোর অনুমোদন নেওয়া যাবে। কী ভাবে অনলাইনে অনুমোদন নিতে হবে তা জানানোর জন্য বড় স্ক্রিনে প্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তাও উদ্যোক্তাদের দেখানো যায়নি বলে অভিযোগ। অনেকে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করলেও ‘পরে জানানো হবে’, ‘এ সব এখানে আলোচ্য নয়’ গোছের উত্তর মেলে বলে অভিযোগ।

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘কিছু ছোট ছোট বিষয় যেগুলি স্থানীয় থানার সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। সভার মাঝপথে অন্য কোনও কারণে বিশৃঙ্খলা হয়ে থাকবে। সভা ভালভাবেই শেষ হয়েছে।’’

পুলিশ কমিশনারের উপস্থিতিতে উদ্যোক্তারা সভা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন দেখে বারবার মাইকে অনুরোধ শুরু হয়, ‘আপনারা উঠে যাবেন না, সভার কাজ বাকি রয়েছে।’ কয়েকজন উদ্যোক্তাকে ভবনের সামনের গেট থেকে অনুরোধ করে ফিরিয়ে আনা হয়। ফের সভা শুরু হলেও উদ্যোক্তারা পরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

শহরের এক বড় বাজেটের পুজো কমিটির উদ্যোক্তার কথায়, ‘‘যে প্রশ্নই করি না কেন, বলা হচ্ছে পরে জানানো হবে অথবা স্থানীয় থানা থেকে জেনে নিতে। তাই যদি হবে তবে আর এই সভা ডাকার মানে কী? তাই উঠে যাই।’’ একটি পুজো কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি জয়ন্ত দে বলেন, ‘‘বৈঠকে এক ঘন্টা বসেও কোনও কিছুই পরিষ্কার করে বুঝিনি। প্রতিটি ক্লাবের কিছু বলার থাকে। সেই সুযোগ মেলেনি। চলে এসেছি।’’ আরেক পুজো কমিটির এবার সুর্বণ জয়ন্তী বর্ষ। তাদের কর্মকর্তা অভিষেক মালাকার কমিশনারকে জানাতে চান এ বার তাদের পুজোয় ভিড় সামলাতে যেন পুলিশি ব্যবস্থা যথাযথ থাকে।তাঁর অভিযোগ, ‘‘কমিশনার চুপ করিয়ে দিয়ে বলেন স্থানীয় থানার সঙ্গে কথা বলে নিতে। বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েও অভিযোগও শুনতে চাননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tangle Puja permission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE