সারা বছরই পানীয় জলের সমস্যা থাকে কমবেশি। গরম পড়তেই সেই সমস্যা তীব্র হয়েছে আরও। কারণ ইসলামপুর শহরের সর্বত্র পুরসভার তরফে পানীয় জল পৌঁছনোর ব্যবস্থা হয়নি এখনও। যে সব এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হয় সেখানেও জলের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বাসিন্দাদের। সুস্থ থাকতে অনেকেই পানীয় জল কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই সমস্যার জন্য প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন বাসিন্দারা। তবে বোর্ড গঠন করেই শহরের পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর পুরসভার কংগ্রেসের মনোনীত চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল। তিনি বলেন, ‘‘পানীয় জলের বিষয়টি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর ও পুরসভা যৌথ ভাবে দেখে। এই বিষয়ে পুরসভাকেই দায়িত্ব দিতে চেয়েছে ওই দফতর। কিন্তু পরিকাঠামো না থাকায় একক ভাবে সেই দায়িত্ব নিতে পারছে না পুরসভা। তবে শহরের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি পাম্প বসানো হয়েছে। রিজার্ভার ও পাইপলাইন এখনও বসানো হয়নি। শীঘ্রই তা করা সম্ভব হবে।’’
ইসলামপুর শহরের ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পাইপলাইন বসিয়ে পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পাইপ লাইন দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। আবার জলের পাইপ লাইন পৌঁছয়নি এমন এলাকাও রয়েছে। ১, ২, ৩, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ এবং ৮, ১১, ১৭-সহ একাধিক ওয়ার্ডে পানীয় জল নিয়ে সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা।
বাসিন্দারা জানান, ইসলামপুর শহরে বেশির ভাগ বাড়িতে নলকূপের জল না মেলায় পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ জল ট্যাঙ্কে তুলে খাওয়ার জন্য ব্যবহার করছেন তাঁরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই জলের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় তা খাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে জল কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন।
ইসলামপুরের মহকুমা শাসক তথা ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক ভিভু গোয়েল বলেন, ‘‘কিছু ওয়ার্ডে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপ লাইন বসে যাওয়ায় জল সরবরাহে সমস্যা হয়েছে বলে জানি। তবে সব এলাকার খোঁজ না নিয়ে বিশদে বলা সম্ভব নয়। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy