বন্ধ সীমানা চৌকি।—প্রতীকী চিত্র।
জিএসটি লাগু হওয়ার পরে আচমকা অসম সীমান্ত সংলগ্ন কোচবিহারের বক্সিরহাট ও আলিপুরদুয়ারের বারোভিসার দু’টি বাণিজ্যিক চেকপোস্ট বা সীমানা চৌকি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ক্লিয়ারিং এজেন্ট ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে কমিটি তৈরি করে আন্দোলন শুরু করেছেন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “জিএসটি লাগু করায় বহু মানুষ অসুবিধেয় পড়েছেন। অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।” জেমস কুজুর বলেন, “অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবো।” কমার্সিয়াল ট্যাক্সের আলিপুরদুয়ার রেঞ্জের জয়েন্ট কমিশনার হিরা লেপচা বলেন, “সরকারি নির্দেশ মেনে ওই চেকপোস্ট বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী সরকারি নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “কেউই কর্মহীন হয়ে পড়বে না। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সরকার বিষয়টি দেখছে।”
বক্সিরহাট মোড় চেকপোস্ট ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে বক্সিরহাট ও বারবিশায় ওই চেকপোস্ট চালু রয়েছে। আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি ওই চেকপোস্টে তাঁদের নিজেদের এজেন্ট তৈরি করে রেখেছে। সেই কাজ ঘিরেই ছোট ছোট কাউন্টার গড়ে ওঠে সীমান্ত রাস্তায়।
সেই কাউন্টার ঘিরে তৈরি হয় বাজার। সংগঠনের তরফে মদন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তিরিশ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এই কাজের উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। এখন চলবে কী করে।” আজ, বক্সিরহাটে কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy