হরিশ্চন্দ্রপুরে উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি জমি দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ পুলিশও। পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ করতেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, মূল অভিযুক্ত আসলে বিজেপির বুথ সভাপতি। অন্য দিকে, বিজেপির মতে এটা গ্রাম্য বিবাদ। শেষ পর্যন্ত আইসির হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠেছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার হাই স্কুল পাড়ার নয়াটোলা গ্রামের সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ওই গ্রামে ১৮ বিঘার একটি সরকারি খাস জমি রয়েছে। সেখানে প্রতি বছর চৈত্র মাসের শেষে চড়কের মেলা বসে। অনেক দিন ধরে স্থানীয় মন্দির কমিটি ওই জমির রক্ষণাবেক্ষণ করত। বছরের অন্য সময়ে গ্রামের কৃষকেরা ওই জমিতে ফসল ফলান। কয়েক জনের অভিযোগ, কৃষ্ণ মহালদার, বিনোদ মহলদার এবং কানাই মহালদার নামে তিন ব্যক্তি ওই জমির মধ্যে ছয় বিঘা জমি বেআইনি ভাবে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন। গ্রামবাসীদের কয়েক জন সকালে যখন চাষ করতে যান, সেই সময় কৃষ্ণেরা তাঁদের বাধা দেন। এ নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। এর সঙ্গে জুড়ে যায় রাজনীতি। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশকেও ঘেরাও করে রাখেন গ্রামের মানুষ। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দীর্ঘ ক্ষণ পর অবরোধ ওঠে। অন্য দিকে, ঘটনাস্থলে যান হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির উপ-প্রধান অজয় পাসোয়ান। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, যাঁরা জমি দখল করছেন, তাঁরা তৃণমূলের কর্মী। তাই তাঁরা এত প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন। যদিও তৃণমূলের দাবি কৃষ্ণ মহালদার বিজেপির বুথ সভাপতি। বিজেপির দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ভিক্টর সাহা জানান, নিয়ম মেনে ওই জমি তাঁরা পুনরুদ্ধার করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy