ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বুলেটের খোল।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূল এবং কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদহের রতুয়া-২ ব্লকের পরাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর এলাকা। এলাকার কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। উঠেছে সংঘর্ষে গুলি চালানোরও অভিযোগ। পাশাপাশি, কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেছে রাজ্যের শাসকদলের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
চাঁদপুরের কংগ্রেস নেতা আবদুল রহমানের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভোটপ্রচার শেষ করে দলীয় শিবিরে বসেছিলেন কর্মীরা। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে দাবি তাঁর। সংঘর্ষে গুলিও ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর পর কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি করেছেন আবদুল। তাঁর দাবি, পরাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে এই হামলা ঘটেছে।
কংগ্রেসের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের পরাণপুর অঞ্চলে সভাপতি শাহজাহান পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ভোটপ্রচার করার সময় তিনি জানতে পারেন, কংগ্রেসের লোকজনই তাঁদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজের কয়েকটি খোল পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে বোমা বিস্ফোরণের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। ওই ঘটনায় কংগ্রেস এবং সিপিএম জোটের আট জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি নেতৃত্বের। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। টহলদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘সংঘর্ষ ঘটেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়ন আছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy