তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ভাঙন। দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএমে যোগ দিলেন তৃণমূল নেতা-সহ ৪০০ সমর্থক। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বালাভূত এলাকায়। সিপিএমের দাবি, এর ফলে বালাভূত এলাকায় শক্তিশালী হল সিপিএম। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, সিপিএমে যোগদানকারী ওই নেতাকে আগেই দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে।
রবিবার বালাভূত এলাকায় সিপিএমের এক কর্মিসভায় যোগদান করেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মিজানুর রহমান। মিজানুরের দাবি, এলাকার প্রায় ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী যোগ দিয়েছেন সিপিএমে। তাঁর কথায়, বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন তিনি। তিন মাস আগে তিনি তৃণমূল এবং পঞ্চায়েত সদস্যের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তাঁর আরও দাবি, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬টি বুথে সিপিএম প্রার্থীরা জয়লাভ করবে।
তৃণমূলের দাবি, চার মাস আগে বিভিন্ন দুর্নীতি এবং অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে মিজানুরকে বহিষ্কার করেছে দল। সিপিএম ‘নাটক’ করছে বলেও দাবি তৃণমূল নেতাদের। উত্তরবঙ্গের মতো সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গেও কিছু জায়গায় শাসকদল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছেন অনেকে। কিছু দিন আগে, নদিয়ার তেহট্ট থানার শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শাসকদলের পতাকা ছেড়ে সিপিএমে যোগ দেন প্রায় ৩০০ জন। এমনকি অনুব্রতহীন বীরভূমেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙন ধরেছে তৃণমূলে। সেখানকার পাড়ুই থানার অন্তর্গত সাত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাটপুকুর ডাঙায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ ৬০০ জন যোগদান করেন সিপিএমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy