সুনসান: কর্মব্যস্ত সোমবারে গমগম করে এনজেপি স্টেশন। বন্যা বিপর্যয়ে একের পর এক ট্রেন বাতিলের জেরে সেই স্টেশনেরই এমন খাঁ খাঁ করা বিরল চেহারা দেখা গেল এ দিন। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
বন্যা পরিস্থিতিতে আনাজের দাম আগুন হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে হাত পুড়ছে আমিষের বাজারেও। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, গত দু’দিন ধরে বাইরে থেকে মাছের গাড়ি ঢোকেনি শিলিগুড়িতে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় তাতেও মাছ আসছে না। শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি চৌধুরী বলেন, ‘‘ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে বলে মাছ আসছে না। ডালখোলা, ‘বেঙ্গল টু বেঙ্গল’ রোডেও গাড়ির জট। রবিবার, সোমবার গাড়ি আসেনি। তাতে মাছের জোগান কমেছে।’’ কয়েক দিন আগেই বর্ষায় ইলিশের দাম আকার অনুসারে কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০, ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। সেগুলি কেজি প্রতি ২০০-২৫০ টাকা করে বেড়ে গিয়েছে।
আলু, পেঁয়াজ, স্কোয়াশ, টোম্যাটো সবেরই দাম বাড়ছে হুহু করে। শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার বা দুই দিনাজপুর, সব জায়গাতেই চিন্তায় পড়েছেন মানুষ। শিলিগুড়ির বিধানমার্কেট, সুভাষপল্লির মতো বিভিন্ন বাজারে সোমবার পটোল ৪০-৪৫ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে। ১৬-২০ টাকা কিলোগ্রাম দরে যে পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগেই বিক্রি হয়েছে, এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। টোম্যাটো ৮০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি কিলোগ্রাম শশা ৬০ টাকা, স্কোয়াশ ৪০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বেগুন ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি ঢ্যাঁড়শের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। কাঁচা লঙ্কাও ৮০ টাকা কেজি।
আনাজের পাশাপাশি মাছের দামও বেড়েছে।
বৃষ্টি ও নদীর জলে প্লাবিত উত্তর দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার জেরেই আনাজের বাজারে দাম বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন আনাজের দাম প্রতি কেজিতে দশ থেকে ৩০ টাকাও বেড়েছে। ইসলামপুরে বন্যার আগে পেঁয়াজের দাম ২০ টাকার কাছে ছিল। সেখানে এ দিন পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা। কাঁচা লঙ্কা ১০০ টাকা কেজি। পটোল ৪০, ঢ্যাড়শ ৪০টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা কেজি। বাঁধাকপি ৪০– ৫০ টাকা কেজি। মুলো ৬০ টাকা কেজি, কুমড়ো ৩০ টাকা, পেপে ৩০ টাকা, স্কোয়াশ ৩০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ওল ৫০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা। ইসলামপুরের প্রতিটি বাজারেই কম বেশি একই পরিস্থিতি।
বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, কয়েকশো হেক্টর কৃষিজমি বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় একশো কোটি টাকা। জেলা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রায় আড়াইশো হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy