স্টেট ব্যাঙ্কের সামনে মারমুখী জনতা। — নিজস্ব চিত্র
ব্যাঙ্কে টাকার সমস্যায় মানুষের ভোগান্তি অব্যাহত। এর আগে টাকা না পেয়ে একাধিক ব্যাঙ্কে বিক্ষোভের সঙ্গে সঙ্গে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ বার দাবিমতো টাকা না মেলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের একাংশের ভাঙচুর-বিক্ষোভে তেতে উঠল মালদহের রতুয়ার বালুপুর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুপুরহাট স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের সামনেই ব্যাঙ্ক লক্ষ করে এলোপাথাড়ি ইট ছুড়ে, বাঁশ, লাঠি হাতে গ্রাহকদের তাণ্ডবে ভিতর থেকে ব্যাঙ্কের গ্রিলে তালা মেরে দেন কর্মীরা। তারপরেও সাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন গ্রাহকদের একাংশ। পরে রতুয়া থানা থেকে ওসির নেতৃত্বে বিরাট পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার জেরে এ দিন ব্যাঙ্কে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় এদিনের গ্রাহক বিক্ষোভের ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যাঙ্ক কর্তারা। ঘটনার জেরে শুক্রবার থেকে ওই শাখার সঙ্গে সব শাখাতেই কম করেও পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, নোট-বাতিলের পর থেকেই ব্যাঙ্কে চাহিদামতো টাকা মিলছে না। লাগোয়া এটিএমও গত ২০ দিন ধরে বন্ধ। সারাদিন লাইন দিয়ে কোনওদিন এক হাজার, কোনওদিন তাও মেলে না। এ দিন পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে দু দিন আগে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছিল। ফলে ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন পাঁচশোরও বেশি মানুষ। কিন্তু এ দিনও এক হাজার টাকার বেশি দেওয়া হচ্ছে না জানতে পেরেই ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করে। বিক্ষোভের সময় বাঁশ, ইট-পাথর হাতে মারমুখী জনতাকে দেখে আতঙ্কিত ব্যাঙ্ককর্মীরা ভিতর থেকে গ্রিলে তালা ঝুলিয়ে দেন। উত্তেজিত জনতা সাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলেও পুলিশ পৌঁছে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘সময় মতো পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’’
ওই শাখার ম্যানেজার অঙ্কন পাল এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্টেট ব্যাঙ্কের মালদহের রিজিওনাল ম্যানেজার অজয় কুমার সিংহ বলেন, ‘‘এ দিন টাকা কম ছিল। শুক্রবার বেশি টাকা দেওয়ার কথা বলা হলেও গ্রাহকেরা তা মানেননি। তবে টাকা না পেলে এমনটা হতে পারে। তাই গ্রাহকদের দোষ দিচ্ছি না, পুলিশেও জানাচ্ছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy