Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Nabanna

এ বার হাঁটতে হাঁটতে পর্যটন, উদ্যোগী প্রশাসন

পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, কলকাতার বিবাদি বাগ, মহাকরণ থেকে ডেকার্স লেন বা চন্দননগরের ফরাসি উপনিবেশের গল্প বরাবর আকর্ষণীয়।

রাজ্য সরকারের প্রধান কার্যালয়।

রাজ্য সরকারের প্রধান কার্যালয়। — ফাইল চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:০০
Share: Save:

রাজ্যে সরকারি ভাবে প্রথম ‘ওয়াকিং ট্যুর’-এর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথে পর্যটন দফতর। সরকারি সূত্রের খবর, কলকাতা ছাড়া হুগলি, মালদহ, দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ বা বিষ্ণুপুরের মতো এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে প্রথম বার 'ওয়াকিং ট্যুর' তৈরির করার কাজ চলছে।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যটন দফতরের সচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলার অফিসার, সংশ্লিষ্টপক্ষদের নিয়ে একটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। সেখানে ওয়াকিং ট্যুরের সম্ভাবনা, সমস্যা, কলকাতার বাইরে জেলার জনপ্রিয় করা, প্রচার এবং প্রশিক্ষণের দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে চা-পর্যটন, হোম-স্টে পর্যটনের ধাঁচে প্রকল্পের খসড়া নীতি তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘বিদেশে তো বটেই, আমাদের দেশেও ওয়াকিং ট্যুর জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মানুষ এখন সব কিছু থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান। তাই পর্যটনের ক্ষেত্রেও অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ চলছে। ওয়াকিং ট্যুরের নীতিও রাজ্যে তৈরির কথাবার্তা হয়েছে।’’

পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, কলকাতার বিবাদি বাগ, মহাকরণ থেকে ডেকার্স লেন বা চন্দননগরের ফরাসি উপনিবেশের গল্প বরাবর আকর্ষণীয়। তেমনই, দার্জিলিঙের ব্রিটিশদের নানা নির্দশন থেকে কালিম্পঙের মর্গান হাউসের গা ছমছম করা মিসেস মর্গানের ইতিহাস, সবই পর্যটকদের কাছে বরাবর আকর্ষণীয়। হেরিটেজ, খাবার, সংস্কৃতি, প্রকৃতি, ফোটোগ্রাফি সব মিলিয়ে ওয়াকিং ট্যুর জনপ্রিয় হচ্ছে। রাজ্যের বেসরকারি স্তরে অনেকে এই প্যাকেজে কাজ করছেন। কলকাতা ছাড়াও দার্জিলিং, কালিম্পঙে কয়েক বছর আগে শীতে কার্নিভালের সময় ওয়াকিং ট্যুর হয়েছে। কলকাতার স্ট্রিট ফুড বিশ্বের স্ট্রিট ফুডের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বর রয়েছে।তেমনই, দার্জিলিঙের নানা নিদর্শনের সঙ্গে নেপালি খাবার, মোমোর সঙ্গে কমলালেবু বাগান বা চা-বাগিচা হেঁটে ঘোরার আনন্দই অন্য রকম।

এ সব নিয়েই এগোতে চাইছে সরকার। গাড়ির বদলে প্রশিক্ষিত গাইডদের নিয়ে হেঁটে ঘোরার দিকেই ঝুঁকছেন বহু পর্যটক। তা দেখেই সরকারি ভাবে এই ট্যুরকে জনপ্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পর্যটন দফতরের অফিসারেরা জানিয়েছেন।

গত ৩ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে নানা সমস্যার কথাও সামনে এসেছে। সরকারি লাইসেন্স, বিভিন্ন হেরিটেজ ভবন, বাড়ি, মিউজিয়ামে ঘোরার অনুমতি, প্রচার বা বিপণনে সরকারি সাহায্যের কথা হয়ে‌ছে। দফতরের এক যুগ্ম সচিব জানান, সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে ফোরাম তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপও থাকবে। মাসিক বৈঠক, প্যাকেজ তৈরি, সরকারি রেজিস্ট্রেশন এবং প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত ফোরামের মাধ্যমে করা যাবে। গাড়িতে করে হোটেল, রিসর্ট থেকে নিদিষ্ট গন্তব্যে এনে সেখান থেকে পর্যটকদের হাঁটিয়ে নানা গন্তব্য, নির্দশন, ইতিহাস, এলাকার গল্প, সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে অন্য এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nabanna tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE