শিক্ষকের বাড়ির সামনে ধর্নায় সঙ্গীতা। —নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের দাবিতে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন বন সহায়ক পদে কর্মরত এক তরুণী। বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘটেছে জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের কালীরহাটের বাসিন্দা শুভঙ্কর রায় শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেন কাঠুলিয়া এলাকার বাসিন্দা সঙ্গীতা রায়। তিনি বন সহায়ক পদে কর্মরত। সঙ্গীতা বলেন, ‘‘ছয় বছর ধরে শুভঙ্কর এবং আমার প্রেম। এত দিন ধরে ও আমাকে বিয়ে করবে বলত। কিন্তু গত ১ এপ্রিল হঠাৎ সে এক জনের মাধ্যমে আমাকে জানায়, বিয়ে করবে না। তাই আমি আজকে সকালে ওর বাড়ির সামনে এসেছি বিয়ের দাবিতে।’’
ওই তরুণীর আরও বক্তব্য, ‘‘আমাদের বাড়ির লোকজন সামাজিক মতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বেশ কয়েক বার শুভঙ্করের বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁরা বলেন, ‘বিয়ে দেব। কিন্তু সময় চাই।’ এ ভাবে দিনের পর দিন কাটতে থাকে। এখন ছেলে বলছে, আমাকে বিয়ে করবে না। তা হলে এত দিন আমাকে ঘোরালো কেন? আমার বাড়ির লোকজনকে কেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল?’’
ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শুভঙ্করের বাবা যামিনী রায়। তিনি বলেন, ‘‘ওদের বাড়ি থেকে এর আগে বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। তখন ছেলেরও বিয়েতে মত ছিল। কিন্তু জানি না, এখন কী হয়েছে। আমরা বিয়ে দিতে রাজি। কিন্তু আজকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ মেয়ে আমার বাড়িতে এসেছে।’’
এ প্রসঙ্গে শুভঙ্কর অবশ্য কিছু বলতে চাননি। একাধিক বার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy