বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বালাপাড়া জঙ্গলে বনকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য-সহ দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা জঙ্গলে কাঠ চুরির চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ নির্যবান বসুমাতা ও নবকুমার নার্জিনারির বাড়ি বালাপাড়া বস্তিতে। নির্যবান বসুমাতা আরএসপির প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বলে জানা গেছে। তাঁর স্ত্রী অনিভা বসুমাতা চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনার পরেই বনবস্তির বাসিন্দাদের একাংশ স্থানীয় বিট অফিসে হামলা চালায়। তাদের হামলায় এক বনকর্মী জখম হয়েছেন। জখম বনকর্মীর নাম নগেন বর্মন। তাঁর মাথা ফেটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ দুই জনের পায়ে ও হাতে গুলি লেগেছে। বনকর্মীরাই জখম দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে কামাখ্যাগুড়ি ও পরে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেকটর সন্দীপ সুন্দরিয়াল বলেন, “টহলদারির সময় কাঠচোর দেখতে পান বনকর্মীরা। বাধা দিতেই দলটি বনকর্মীদের লক্ষ করে গুলি করে বনকর্মীরা পাল্টা গুলি চালায়। দুই জন গুলিবিদ্ধ হন।” তিনি জানান, ঘটনার পর এক দল বস্তিবাসী বিট অফিসে আসে। ওই বনকর্মীরা তখন সেখানে ছিলেন। তাঁদের মারধর করা হয়।
ঘটনার পর বন দফতরের তরফে কুমারগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জখম দুই ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের লোকজন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নির্যবান বসুমাতার দাবি, তাঁরা বাড়ির জন্য জ্বালানি কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন। সন্দেহের বশে গুলি চালায় বনকর্মীরা। তারপর মিথ্যে ফাঁসানো হয় তাঁদের। নির্যবানের দাদা সত্যবান বলেন, “বনবস্তিবাসীরা কাঠ আনতে জঙ্গলে তো যাবেই। এ ভাবে নিরীহ বস্তিবাসীর উপর গুলি চালিয়ে বন দফতর বাঁচার জন্য গল্প ফেঁদেছে।” একই দাবি নবকুমার নার্জিনারিরও।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ বনকর্মীরা জঙ্গলে টহল দিতে গিয়ে দেখেন আট দশজনের দল দশ-বারোটি ঠেলাগাড়ি নিয়ে গাছ কাটা শুরু করেছে। তাদের বাঁধা দিতেই কাঠচোরেরা গাদা বন্দুক থেকে গুলি চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। কাঠচোরের দল পাঁচ রাউন্ড ও বনকর্মীরা ৩ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে কুমারগ্রাম থানা থেকে পুলিশ, এসএসবি জওয়ান এবং বন কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “বন দফতরের অভিযোগ জমা পড়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy