Advertisement
১৭ মে ২০২৪
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

কর্মচারি সমিতি বামেদের দখলেই

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি দখলে রাখল বাম মনোভাবাপন্নেরা। মঙ্গলবার স্ক্রুটিনি ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ছিল। সেই প্রক্রিয়ার পর বিরোধী কোনও প্যানেল না-থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনও প্রয়োজন হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেন রিটার্নিং অফিসার রতন দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৬ ০৯:৩৫
Share: Save:

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি দখলে রাখল বাম মনোভাবাপন্নেরা। মঙ্গলবার স্ক্রুটিনি ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ছিল। সেই প্রক্রিয়ার পর বিরোধী কোনও প্যানেল না-থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনও প্রয়োজন হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেন রিটার্নিং অফিসার রতন দাস।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের নাম রতনবাবুই এ দিন ঘোষণা করেন। তাঁরা সকলেই বাম মনোভাবাপন্ন। তিনি জানান, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ফজলুর রহমান। সভাপতি মনোতোষ ঘোষ। পুরনো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন চট্টোপাধ্যায় শারীরিক এবং ব্যক্তিগত সমস্যায় এ বার প্রার্থী হননি। প্রার্থী হননি পুরনো কমিটির সভাপতি সজল গুহও। বিরোধী গোষ্ঠী এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি নিয়ম নীতি না মেনে নির্বাচন ঘোষণা করেছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশ নেননি।

কর্মচারী সমিতি এবং কমিশন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কমিটিতে ৯ টি বিভিন্ন পদ এবং বাকি ১৭ জন সদস্য বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসেন। সব মিলিয়ে ২৬ জনের কমিটি। তার মধ্যে রসায়ন বিভাগ থেকে কাউকে পাঠানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস, অর্থ বিভাগ এবং রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মীদের প্রতিনিধি হিসাবে যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন এ দিন তাঁরা প্রত্যাহার করে নেন। বাকিরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন।

সমিতির বাম বিরোধী গোষ্ঠীর তরফে শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘এই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে করা হয়েছে। আমরা তা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগও জানিয়েছি।’’ তাঁদের অভিযোগ, ১০ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন সম্পূর্ণ করার কথা সমিতির সংবিধানে রয়েছে। অথচ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ওই কমিটি বৈঠক করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে। তা অবৈধ। নিয়ম মাফিক সমস্ত সদস্যদের নিযে সাধারণ সভা ডেকেই নির্বাচন ঘোষণা করতে হত। প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুমন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিয়ম মাফিক সমস্ত কিছু করা হয়েছে। সংবিধানেই বলা রয়েছে নতুন কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত পুরনো কমিটি কার্যকর হবে। তারাই নির্বাচনের দিনক্ষণ, কমিশন ঠিক করবে।’’

সম্প্রতি সমিতির এক্সিকিউটিভ কমিটি নির্বাচন নিয়ে বৈঠক ডাকলে তাদের উপর হামলা, ইউনিয়নের অফিসে চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ১৭ জুন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র জমা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর পরেই নির্বাচন কমিশনকে তারা অভিযোগ জানায়। স্থগিত হয়ে যায় স্ক্রুটিনি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া। কমিশন বিদায়ী কমিটিকে বিষয়টি জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। সেই মতো সোমবার সভা ডেকে কমিশনকে ফের প্রক্রিয়া চালু করতে বলা হয়েছিল।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির আহ্বায়ক গুরুচরণ রায় জানান, কর্মচারী সমিতির সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Workers association
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE