নারী পাচারকারী সন্দেহে অভিযুক্তকে রেল পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ এপ্রিল নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন এলাকায়। নাচের অনুষ্ঠানের প্রলোভন দেখিয়ে দুজন কিশোরী সহ ৪ জনকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। সোমবার এই বিষয়টি রেল পুলিশের শিলিগুড়ির সুপার উজ্জ্বল ভৌমিককে জানান ওই দুই কিশোরীর মা। শিলিগুড়ির রেল পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগ জমা দিলে তার প্রতিলিপি সই করে অভিযোগকারীদের দেওয়া নিয়ম। অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করার কথা। কী হয়েছে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রাথমিক তদন্তে আলিপুরদুয়ার জংশন জিআরপির ওসি প্রদীপকুমার জানান, নিউ আলিপুরদুয়ারে মেয়ে পাচারকারী সন্দেহে মুন্না মণ্ডল ওরফে সাত্তার আলমকে নিউ আলিপুরদুয়ার রেল পুলিশের হাতে তুল দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। একটি অভিযোগ পত্র জমা দেওয়ার বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। জিআরপি ওসি বলেন,“অভিযোগ পত্রটি নিয়ে প্রতিলিপি সই করে অভিযোগকারীদের দেওয়া হয়নি জানতে পেরেছি।” নিউ আলিপুরদুয়ার রেল পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে কোনও পুলিশকর্মী মন্তব্য করতে চাননি। ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি কোথায় তাও তারা জানাতে পারেননি। নাচ শিক্ষক বিনোদ মাহাতো বলেন, “বছর দুয়েক আগে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। ফোনেই যোগাযোগ ছিল। কলকাতার বাসিন্দা শুভ নামের ব্যক্তি কিছু দিন আগে ফোন করে জানায়, নাচের অনুষ্ঠান রয়েছে কলকাতায়। তা জানতে পেরে ২ কিশোরীর মা মেয়েদের সেখানে পাঠানোর জন্য প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে ওই শিক্ষককে জমা দেন। ১৮ এপ্রিল কিশোরী দুজনকে নেওয়ার জন্য নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে মুন্না মণ্ডল ওরফে সাত্তার আলম নামে একজন যান। বাসিন্দারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কলকাতার বদলে উত্তরপ্রদেশে দু’মাসের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান। সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যক্তিকে রেল পুলিশের হাতে দেওয়া হয়। এক কিশোরীর মা জানান, গোটা ঘটনা লিখিত ভাবে জানিয়ে তাকে নিউ আলিপুরদুয়ার রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু রেল পুলিশ অভিযোগের কোনও কপি দেয়নি। তারা তিন দিন ধরে সেখানে গিয়ে অভিযোগের কপি চাইলেও দেওয়া হয়নি। কিশোরীটির মা-এর অভিযোগ, “যাকে পুলিশের হাতে দিয়েছিলাম। দেখি সে ফাঁড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করছে। বাধ্য হয়ে আলিপুরদুয়ার জংশনের জিআরপির কাছে জানাই।” গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির সদস্য সুমন গোস্বামী জানান, পাচারকারী সন্দেহে বাসিন্দারা এক অভিযুক্তকে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরে পুলিশ কেন এমন করেছে তা নিয়ে তদন্ত দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy