আলুর ধাক্কা এখনও কাটেনি গৃহস্থের। এ বার দোসর লঙ্কা।
চড়া দামে আলু কেনার ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই লঙ্কা নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে জলপাইগুড়িতে। বিভিন্ন বাজারে একই লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে একেক দামে। কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে হাত পুড়ছে ক্রেতাদের। ওই ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সব্জি ব্যবসায়ী মহলেই। তাঁদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যক্তি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কালোবাজারি শুরু করায় জটিলতা বাড়ছে।
জলপাইগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ির দূরত্ব ১৯ কিলোমিটার। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির দিনবাজারে লঙ্কার কেজি প্রতি পাইকারি দাম ছিল ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। খুচরো বাজারে এই লঙ্কা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ একই লঙ্কা ময়নাগুড়ির পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর খুচরো বাজারে দাম কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। জলপাইগুড়ি শহরের অন্য বাজারেও এদিন কেজি প্রতি ৬০ টাকায় লঙ্কা কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। সব্জি বিক্রেতা হরিবালা সাহা বলেন, “পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যক্তি বদনাম করে ছাড়ছে। ক্রেতারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের কথা শুনতে হচ্ছে।” একই বক্তব্য স্টেশন বাজারের সব্জি ব্যবসায়ী ভবেশ মণ্ডলের।
কয়েকজন সব্জি বিক্রেতা জানান, প্রথমে অনাবৃষ্টি এবং কয়েকদিন থেকে অতিবৃষ্টির কারণে খেতের লঙ্কা থেকে অন্য সব্জি সবই পচে নষ্ট হতে শুরু করেছে। বেগুন, ঢেঁড়শ, ঝিঙে, বরবটি সহ অন্য সবজির যোগান কমছে। প্রতি বছর অগস্ট মাসের এই সময় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে লঙ্কা আসে বিহারের কাটিহার, জিয়াগঞ্জ থেকে। তাই কিছুটা দাম বেশি থাকে। এবার লঙ্কার যোগান স্বাভাবিক আছে। তাই দাম লাফিয়ে দ্বিগুণ হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই বলে দাবি করেন দিন বাজারের সবজি বিক্রেতা গৌতম বসু। তাঁর কথায়, “বাজারে যোগান ঠিক থাকলে কোন সব্জির দাম লাফিয়ে কেন বাড়বে! যেখানে দাম দ্বিগুণ নেওয়া হচ্ছে বুঝতে হবে কিছু ঘটনা আছে।”
যদিও কী সেই ঘটনা সেটা স্পষ্ট করতে নারাজ ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজারের সবজি বিক্রেতাদের একাংশ। মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূরে জলপাইগুড়ি দিনবাজারে কত দামে লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে সেটা নিয়েও তাঁদের কোনও মাথা ব্যথা নেই। তাঁদের যুক্তি, “ময়নাগুড়িতে পাইকারি বাজারে বেশি দামে বিহারের লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে।” ময়নাগুড়ি বাজারে একশো টাকা কেজি দরেও লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। ময়নাগুড়ির বিডিও সংহিতা তলাপাত্র বলেন, “আজ, বুধবার থেকে বাজারে তল্লাশি চালানো হবে ফাটকা কারবার বরদাস্ত করা হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy