২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চাকুলিয়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টোল প্লাজায় ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ একদল যুবক নিজেদের আইএনটিটিইউসির নেতা-কর্মী বলে দাবি করে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার সূর্যপুরের ওই টোলপ্লাজায় চড়াও হয়। টোলপ্লাজার ম্যানেজার সরোজ সিংহ-সহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মীর কাছে তাদের পছন্দের লোককে টোলপ্লাজায় নিয়োগ করার দাবি জানায় তারা। ওই উচ্চপদস্থ কর্মীরা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাঁদের নিয়োগ করা সম্ভব নয়। এর পরেই ওই যুবকেরা টোল প্লাজার চারটি ঘরে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সরোজবাবু-সহ টোলপ্লাজার বেশ কয়েকজন কর্মীকে দুষ্কৃতীরা ধাক্কা মারে বলেও অভিযোগ। প্রাণ ভয়ে পালান তাঁরা। ওই ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কে প্রায় একঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলে তারা পুলিশের সামনেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি নষ্ট করে বলে অভিযোগ। পুলিশকেও কাজে বাধা দেয় তারা। টোলপ্লাজার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেও পুলিশকে তারা বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই অভিযুক্তেরা পালায়। সরোজবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার স্থানীয় ৩৩ জনের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকার নিযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের হেনস্থা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ-কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের একাংশের দাবি, অভিযুক্তরা সকলেই এলাকায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সমর্থক বলে পরিচিত। তবে আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অরিন্দম সরকার দাবি করেছেন, টোলপ্লাজায় যারা ভাঙচুর করেছে, তাদের সঙ্গে আইএনটিটিইউসির সম্পর্ক নেই। পুলিশের উচিত, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।” জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ওই টোলপ্লাজায় ও ইসলামপুর মহকুমার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy