কর্মীদের বড় অংশকে অন্য সরকারি দফতরে নিয়োগ করে আর্থিক সমস্যায় ধুঁকতে থাকা হিমুলকে চাঙ্গা করতে চাইছে রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ দফতরের প্রধান সচিব-সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে হিমূলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক করেন। সরকারি সূত্রের খবর, বৈঠকে হিমুলের ১১৮ জন কর্মীর মধ্যে অন্তত অর্ধেক কর্মীকে জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাহিদামত পাঠিয়ে আর্থিক বোঝা কমানো যেতে পারে বলে ঠিক হয়েছে। অফিসারদের চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন মন্ত্রী। একই সমস্যায় ধুঁকতে থাকা রায়গঞ্জ স্পিনিং মিলও সাড়ে তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সেখানেও কর্মীদের অন্যত্র বদলি করে সমস্যা মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তবে অফিসার, কর্মীদের চাকরির সুযোগ সুবিধা কাটছাঁট করা হলে আন্দোলন করা হবে বলেও শ্রমিক সংগঠনগুলি জানিয়ে দিয়েছে। টেলিফোনে মন্ত্রী স্বপনবাবু বলেন, “হিমূলের কর্মী সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। এদিন বৈঠক হয়েছে। চাকরির শর্ত বজায় রেখে কর্মীদের বড় অংশকে জেলার অন্য কয়েকটি দফতরে বদলির কথা ভাবা হয়েছে। আমরা কর্মী, অফিসার, শ্রমিক সংগঠন সবার সঙ্গে কথা বলব।”
হিমূল সূত্রের খবর, সংস্থার দুধ সরবরাহ ক্ষমতা কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। প্রতিদিন একবেলা ৩/৪ হাজার লিটার দুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সরবরাহকারীদের বকেয়া না মেটানোয় দুধ সরবরাহ কমতে শুরু করেছে।
চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পড়তে চললেও কর্মীদের অর্ধেকেরই বেতনই হয়নি। পরে প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এরমধ্যে থেকে বকেয়া পিএফ এবং বিদ্যুত্ মেটানো হয়। হিমূলের চেয়ারম্যান পুনীত যাদব জানিয়েছেন। তিনিও বলেছেন, “আমরা হিমূল চালানোর প্রক্রিয়া বদল করছি। সমস্ত লেনদেন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হচ্ছে। কর্মী-সহ বকেয়ার সমস্যা ধীরে ধীরে মিটলেও দুধের সরবরাহ বাড়বে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy