দল থেকে বহিষ্কারের পর এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে শুভাশিস ওরফে সোনা পালকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল।
জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল বোর্ডের ১৩ জন সদস্যের মধ্যে সোনা পাল বাদে বাকি ১২ সদস্য গত ১৮ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল কমিশনারকে চিঠি দিয়ে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্হা প্রস্তাব পেশ করেছেন। প্রশাসন সূত্র্রের খবর, আগামী ২ জানুয়ারী প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। নিয়ম মতো ওই ভোটের মাধ্যমে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে সোনা পালকে সরানোর প্রক্রিয়া এখন সময়ের অপেক্ষা।
বহিষ্কৃত নেতা সোনা পালের অভিযোগ, “ক্ষমতা এখন বিপ্লব মিত্রের হাতে। উনি সব কিছুই করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আমার আর কী বলার থাকতে পারে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে সোনা পাল জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছিলেন। যে হেতু তিনি এখন দলের কেউ নন, ফলে ওই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সদস্যদের আস্থা ভোট নিয়ে নতুন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে।”
গত ৩ ডিসেম্বর দলবিরোধী কাজের অভিযোগে হরিরামপুরের তৃণমূল নেতা তথা দলের সাধারণ সম্পাদক ও পূর্তকর্মাধ্যক্ষ সোনাবাবুকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিপ্লববাবু। দলের সমস্ত পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে দলীয় ব্যানারে হরিরামপুরে সভা ডেকে জেলা সভাপতি বিপ্লববাবুর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সোনাবাবু। ইতিমধ্যে সরকারিভাবে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে তাঁকে সরাতে উদ্যোগী হয় দল। কিন্তু জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে তাকে সরাতে হলে ওই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মোট ১৭ টি আসন। তৃণমূলের ১৩ এবং সিপিএমের ৪ জন সদস্য রয়েছেন। তা ছাড়া ভোটাধিকার রয়েছে জেলার ৬ জন বিধায়ক ওবং ৮ টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। বালুরঘাটের বিধায়ক মন্ত্রী হওয়ায় তাঁর ভোটাধিকার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy